শিরোনাম: |
স্কোর ১৮০ হলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারত : টাইগার অধিনায়ক
|
ক্রীড়া ডেস্ক ॥
বাংলাদেশ-ভারতের চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হওয়ার আগে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল কেবল দুইটি। সে দুই ম্যাচে প্রথম ইনিংসের গড় রান ছিলো ১৯৮! এছাড়া আইপিএলের যত ম্যাচ হয়েছে এ মাঠে তাতেও গড় সংগ্রহ ১৬৬। অথচ সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে রাজকোটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৫৩ রানে। যা কি না এ মাঠের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ফলে হয়েছে যা হওয়ার তাই। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন রোহিত শর্মা-শ্রেয়ার আইয়াররা। ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এই মাঠে যে ১৫৩ রান নিয়ে লড়াই করা যাবে না, তা বোঝা গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালেই। কেননা টাইগারদের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে, বলও দারুণ আসছিল ব্যাটে। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা হতাশ করায় বড় হয়নি দলীয় সংগ্রহ। সেই আক্ষেপই ঝরে পড়েছে টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কণ্ঠে। তিনি মনে করেন ১৯৫-২০০ না হোক, অন্তত ১৭৫-১৮০ রানের স্কোর দাঁড় করাতে পারলেও ম্যাচের গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ সরাসরি বলে দেন, ‘উইকেটটা দারুণ ছিলো। তবে আমরা অন্তত ২৫-৩০ রান কম করেছি। রোহিত ও শিখরকে পূর্ণ কৃতিত্ব দিতেই হয়। ওরা দুইজন যেভাবে শুরু করলো, ম্যাচের মোড় ওদের পক্ষেই চলে যায়।’ বাংলাদেশ দল ৮ উইকেটে ম্যাচ হারলেও, দুইটি উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন তরুণ লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় লেগস্পিনার ইয়ুজভেন্দ্র চাহালও করেছেন দারুণ বোলিং। টাইগার অধিনায়কও মেনে নিয়েছেন এমন উইকেটে লেগস্পিনার দলে থাকলে কত উপকার হয়। তিনি বলেন, ‘এমন উইকেটে রিস্ট স্পিনাররা সবসময়ই কার্যকর। (ইয়ুজভেন্দ্র) চাহাল তা দেখিয়েছে। আমি বলবো আমিনুল আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। সে যেভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। আশা করছি এটি ধরে রাখবে।’ এসময় সিরিজের শেষ ম্যাচের ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘নাগপুরে যাওয়ার পর সেখানের কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের আরও ইতিবাচক থাকতে হবে।’ |