শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
ব্রেক্সিটেও রাশিয়ার ছায়া বিপাকে জনসন
Published : Thursday, 7 November, 2019 at 7:13 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ব্রেক্সিট গণভোটের উপর রাশিয়ার প্রভাব সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ না করায় চাপের মুখে পড়ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? ভোটারদের কাছে ‘বিস্ফোরক’ তথ্য গোপন রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ উঠছে?
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি? একই বছর ব্রিটেনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটেও মস্কোর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে? লন্ডনে রাশিয়ার দূতাবাস কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ঠিক কতটা মদত দিয়েছে, সে বিষয়ে এক পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়েছে? মার্চ মাসেই সংসদের ইনটেলিজেন্স কমিটি সেই তদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে? অক্টোবর মাসের শুরুতেই ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও মন্ত্রিসভার দপ্তর সেটি প্রকাশ করার ছাড়পত্র দিলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি? অথচ বোঝাপোড়া অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে জনসনের সাড়া দেবার কথা ছিল? এদিকে ব্রিটেন সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন শেষ হয়েছে। আগামী ১২ই ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন? ফলে সংসদের পক্ষে আর সেই রিপোর্ট প্রকাশের জন্য চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না? বিরোধীদের অভিযোগ, রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিটপন্থিদের ভূমিকা সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো বিষয় থাকলেও ভোটাররা কিছু জানতে পারবেন না? তাদের মতে, সে কারণে জনসন ইচ্ছা করেই রিপোর্টটি আপাতত ধামাচাপা দিতে চান? বিরোধীরা তাই শেষ প্রহরে সরকারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে? ‘গেট ব্রেক্সিট ডান’ অর্থাৎ ক্ষমতায় ফেরার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন বরিস জনসন? ব্রেক্সিট নিয়ে রাজনীতিকদের দীর্ঘ টালবাহানার কারণে ক্লান্ত ভোটারদের সমর্থন চাইছেন তিনি? প্রথা ভেঙে ডিসেম্বর মাসে আগাম নির্বাচন আয়োজনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পরিস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরতে চান জনসন? এদিকে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষেও ব্রেক্সিট আদৌ কার্যকর হবে কিনা, হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বোঝাপড়ায় আসতে কত সময় লাগবে, তা নিয়ে ব্রাসেলসে সংশয় বাড়ছে? ইইউর প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে মঙ্গলবার বলেছেন, ব্রিটেনে নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা বেশ কঠিন হতে পারে? ব্রিটেন যাতে মুক্ত বাজের সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে ইইউ-র মানদণ্ড খর্ব না করে, সে দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন বার্নিয়ে?
 মোটকথা ইইউ বাজারের নাগাল পেতে হলে ইইউ মানদণ্ড মেনে চলতে হবে? তাছাড়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় বার বার বিলম্বের ফলে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ও কমে চলেছে?




সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি