বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও টুর্নামেন্ট বাড়াচ্ছে আইসিসি
Published : Tuesday, 15 October, 2019 at 7:00 PM

ক্রীড়া ডেস্ক ॥
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও আরও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। যা শুরু হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের পর। আট বছরের এই অতিরিক্ত চক্র চলবে ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পযর্ন্ত। এই চক্রের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য প্রতিবছর থাকছে একটি করে আইসিসি টুর্নামেন্ট। দু’টি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং সেই সঙ্গে থাকছে অতিরিক্ত দু’টি আসর। যা হতে পারে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) আবুধাবিতে চলা সপ্তাহব্যাপী দীর্ঘ বৈঠক শেষে সোমবার আইসিসি যে সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা দিয়েছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে তারা একটি অতিরিক্ত টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, অতিরিক্ত যে একটি টুর্নামেন্ট যোগ করতে চাচ্ছে আইসিসি, সেটা হতে পারে ৫০ ওভারের ফরম্যাটের এবং টুর্নামেন্টটা আয়োজন করা হতে পারে ৬টি দল নিয়ে। অর্থ্যাৎ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ছোট সংস্করণ বলা যেতে পারে তাকে। আইসিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিল এমন কয়েকটি সূত্রই ক্রিনইনফোকে জানিয়েছে এসব তথ্য। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, আমরা নানা বিকল্প খতিয়ে দেখেছি। আমরা মনে করি, এইভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারলে ক্রীড়াসূচিতে ধারাবাহিকতা আনা যাবে। ভবিষ্যতেও ক্রিকেট এর ফলে উপকৃত হবে। অথচ, এমন কোনো টুর্নামেন্ট ক্রীড়া সূচিতে যোগ করার ব্যাপারে আইসিসির প্রস্তাব কিংবা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তারা আগে থেকেই ছিল এর বিপক্ষে। বিসিসিআইর নর্ব নির্বাচিত সভাপতি (ইলেক্ট) সৌরভ গাঙ্গুলি তার মনোনয়ন জমা দেয়ার পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথম যেটা জানিয়েছেন, সেটা হচ্ছে- তিনি আইসিসি থেকে প্রাপ্ত ভারতের রাজস্ব পূণর্বিবেচনা করে দেখবেন। তিনি জানান, ভারতের যা ‘প্রাপ্য’ তা পাওয়া উচিৎ। আইসিসি বৈশ্বিক ক্রিকেট থেকে যা রাজস্ব পায় তার ৭০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। আইসিসির বৈঠকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিরা অনুরোধ জানিয়ে এসেছিল, নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু সময় নিতে। কারণ, বিসিসিআই’র নতুন নির্বাচিত বোর্ড গঠন হবে খুব শিগগিরই (২৩ অক্টোবর)। তারা এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সব বিষয়ে। আইসিসি যে প্রস্তাব রাখছে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার বিসিসিআই ছেড়ে দিতে চেয়েছিল পরবর্তী নির্বাচিত কমিটির ওপর।
কিন্তু আইসিসি সে সব আপত্তি কানেই তুললো না।
 নতুন একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে। এরই মধ্যে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, বিসিসিআই’র প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরি একটি ই-মেইল পাঠিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাওনির কাছে। যেখানে বিসিসিআইর পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে যে, নতুন টুর্নামেন্ট অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলো আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় বাধার সৃষ্টি করবে।
রাহুল জোহরি হালকা হুমকির মুখেই আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে, যদি পরবর্তী এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়ে থাকে কাউকে জানানো ছাড়া কিংবা কারো আপত্তি গ্রাহ্য করে, তবে সেটা শুধু অপরিপক্কই হবে না, তা হবে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজগুলো আয়োজনের ক্ষেত্রে হবে অনেক বড় প্রতিক্রিয়া।
আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অমিতাভ চৌধুরী। মিটিংয়ে তিনি বিসিসিআই প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরির মনোভাবটাকেই টেনে আনেন। কিন্তু আইসিসি বোর্ডের বাকি সদস্যরা জানিয়ে দেন, সময় বাঁচানোর লক্ষ্যে তারা সামনের দিকেই এগিয়ে যেতে চান এবং প্রস্তাবটাকে পাশ করে নিতে চান। সুতরাং, কেবল ভারতছাড়া বাকি সবার সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন প্রস্তাব পাশ করে ফেলে আইসিসি।এরপর আইসিসি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।





সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি