শিরোনাম: |
বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিনজনের
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
শেরপুরের নকলা উপজেলায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতরা নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া এলাকায় শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার খুনুয়া বটতলা এলাকার শামসুল হকের ছেলে অটোরিকশার চালক বিল্লাল হোসেন (২২), অটোরিকশার যাত্রী নকলার চরমধুয়া গ্রামে বসবাসকারী জামালপুরের গেরামারা গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০) এবং আরেক যাত্রীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
তাদের মধ্যে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান হাবিবুর ও অপর যাত্রী। আহত তিন যাত্রীর অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসরা। তারা হলেন- জামালপুরের কাজিয়ারচর এলাকার মেহেদী হাসান (২২), নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রামপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৮) ও হানিফ উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগম (৩৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর থেকে ময়মনসিংহের যাত্রী নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি সন্ধ্যা ৭টার দিকে নকলার চিথলিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে ঢাকা থেকে আসা এফজেড লাইন নামের (ঢাকা মেট্টো-ব-১২-০০৫) বাসটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সড়কের পাশে পড়ে যায় বাসটিও। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে থাকা চালকসহ ছয়জনকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা চালক বিল্লালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর পাঁচ যাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। আহত অপর তিন যাত্রীর অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসরা পুলিশকে জানিয়েছেন। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর শাহ বলেন, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। বিল্লালের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন এলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। |