শিরোনাম: |
বিশ্বমিডিয়ায় তোলপাড় করা গলি বয়
|
বিনোদন ডেস্ক ॥
বয়স তার সবে মাত্র বছর দশেক। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মানুষের মুখে মুখে এখন সে ‘গলি বয়’ নামে পরিচিত। থাকে রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের পূর্ব রসুলপুর এলাকার আট নম্বর গলিতে। সম্প্রতি তার গাওয়া একটি র্যাপ গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আর এ কারণে সে দেশের সীমানা পেড়িয়ে বিশ্ব দরবারের ‘গলি বয়’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বলছি কিশোর রানা মৃধার কথা। দেশের মিডিয়ায় তাকে নিয়ে সংবাদ প্রাকাশের পর বিদেশি গণমাধ্যমগুলো নজড় এড়াতে পারেনি। ঢাকার এই গলি বয়কে নিয়ে বিস্তর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের স্বনামধন্য পত্রিকা ‘আনন্দ বাজার’। ভারতীয় পত্রিকাটিতে ফুল বিক্রেতা রানা থেকে কিভাবে ‘গলি বয় রানা’ হয়ে উঠেছে সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তার বাস্তব জীবনের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার ভাই বোনের সংসারে রানা পড়াশুনা করতে পারে না টাকার অভাবে। দুবেলা খাবারের অসহ্য যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনটিতে। গলি বয় হওয়ার বেশকিছু তথ্যও দেওয়া হয় এতে। এছাড়া রানার স্কুল জীবনে পড়াশোনার কথাও তুলে ধরে ধরা হয়। চার ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রানা। তার জীবন এখনো বাস্তবের বেড়াজালে যেন আটকিয়ে আছে। রানার মা সিতারা বেগম বাসা-বাড়িতে রান্না-বান্নার কাজ করেন। রানা এখন অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ হওয়ার বদৌলতে তাকে রাস্তায় দেখলে অনেকেই সেলফি তুলতে চায়। ছেলে এমন জনপ্রিয়তায় মা সিতারা বেগম বলেন, যখন তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে চায় তখন আমার অনেক ভাল লাগে। তবে টাকার অভাবে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। রানা বলে, আমি ভাবিনি এত অল্প সময়ে ফেমাস হবো। এক গান দিয়ে এত ভালোবাসা পাবো। আমি লেখাপড়া করতে চাই। গান করতে চাই এবং অন্য সবার মতো এগিয়ে যেতে চাই। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে কলেজ ভর্তি হওয়া এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে চাই। |