শিরোনাম: |
ফেনীতে ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, ঢাকায় স্থানান্তর ১০
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে ফেনী। শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত ২২ জন রোগী ভর্তি থাকলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বেড়ে তা ২৭ জন হয়েছে। ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ও ফেনী ডায়বেটিস হাসপাতালের চিত্র এটি। এছাড়া জেলার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালেও রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফেনীতে ভর্তির বেশীরভাগই ঢাকায় আক্রান্ত। জানা যায়, গত কয়েক দিনে জেলার ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ রোগী। এরমধ্যে ২৭ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন, ৬ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। অন্যদিকে, ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একজন রোগী। অন্য ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ফেনীতে চিকিৎসা নেওয়াদের বেশীর ভাগই রাজধানীতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের পাটোয়ারি জানান, শনিবার পর্যন্ত ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে সকাল পর্যন্ত ২১ ছিল তা দুপুরের দিকে বেড়ে হয়েছে ২৬ জনে। এরমধ্যে ৬ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৮ জন। ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, একজন রোগী ভর্তি আছেন। ৪ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে গত দুই মাসে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। গত কয়েকদিন ফেনীর আধুনিক সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু করা গেলে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে করিডোর, বারান্দা ও বিছানায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দা-করিডোর, বিশেষ বেড ও কেবিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা হামদর্দ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জাহিদুল ইসলাম (১৮), ঢাকা শিক্ষা ভবনের কর্মচারী আইয়ুব চৌধুরী (৪০), গাড়ি চালক হাসান (২৮), মহিউদ্দিন (৩০), আরাফাত রহমান (২৩), তাফহিমুল সাওয়ারি ইলেন (১৮), কাজী নজরুল ইসলাম আকাশ (১৮), মো. শরীফ (২৫), নোবেল চন্দ্র দাস (২৩) ও অনিক চন্দ্র দাস (২০) চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু নিয়ে ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন চৌধুরী জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি কর্মসূচী শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যা যা করার দরকার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। |