শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৩.৯৩ শতাংশ
Published : Thursday, 18 July, 2019 at 9:07 PM

স্টাফ রিপোর্টার॥ ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন।
গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-ভাইভ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার ও জিপিএ-ভাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফলাফলের সারসংক্ষের তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছে ৭১ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। মোট জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৭ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাস করেছে ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে দুই হাজার ৫৪৩ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন। গত ১ এপ্রিল থেকে এএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হয় মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এবছর ১০টি বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ১৩ লাখের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী। দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিছামতি আদর্শ কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিল মাত্র একজন শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীও ফেল করেছে। একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজেরও। গত বছর মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এই কলেজে। সেবার ওই পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এবার বোর্ডে কেউ পাস করেনি এমন কলেজ দাঁড়িয়েছে সাতে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকওলি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে। ৯ জন পরীক্ষার্থী ছিল চককামদেব আদর্শ কলেজ থেকে। এই ৯ জনও যোগ হয়েছে ফেলের তালিকায়।
জয়পুরহাট সদরের জয়পুরহাট নৈশ বিদ্যালয়ের তিন জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল। গত বছর এই কলেজ থেকে অংশ নেয় সাত পরীক্ষার্থী। সেবারও সবাই ছিল ফেলের তালিকায়। এবার রাজশাহীর দুর্গাপুরের দাবিপুর কলেজ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে দু’জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ফেল করেছে প্রত্যেকেই। বুধবার দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রামানিক।
তিনি বলেন, শূন্যপাসের এমন কলেজগুলো সবেমাত্র পাঠদানে অনুমতি পেয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও একেবারেই কম। তবে এদের পাস করা উচিত ছিল। কেউ পাস না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে শিক্ষাবোর্ড। এর আগে ২০১৮ সালে রাজশাহী বোর্ডে শূন্যপাস কলেজ ছিল ৬টি। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১টি, ২০১৬ সালে ৮টি, ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন। এ বছর ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। ফলাফল সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।





সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি