শিরোনাম: |
কলকাতায় বিজেপির বিক্ষোভ পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিল পুলিশ
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালীতে দলীয় কর্মী হত্যার প্রতিবাদে ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগে রাজধানী কলকাতায় বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বুধবার ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে বিজেপি নেতা ও এমপি অর্জুন সিং লালবাজার অভিযান সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা ও দলীয় এমপিদের উপস্থিতিতে লালবাজার অভিযান নাম দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে কয়েক হাজার বিজেপি সমর্থক লালবাজারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। বেলা ১টার দিকে বিজেপির দুই নারী সমর্থক আচমকা পুলিশি বেড়াজাল পেরিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’, স্লোগান দিয়ে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে সড়কের ওপর শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে নারী পুলিশের একটি দল দ্রুত তাদের সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যায়। তিন হাজার পুলিশ, ‘র্যাফ’ ও কমব্যাট ফোর্স ওই বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে মাঠে নামে। পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সড়কে বেশ কয়েকটি জায়গায় লোহার রেলিং দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়। ড্রোনের সাহায্যে চালানো হয় বিশেষ নজরদারি। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয় জলকামান ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়। বেলা দেড়টার দিকে বিজেপি কর্মীরা পুলিশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। বেলা ১টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জলকামান ব্যবহার করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। যদিও তাতে বিশেষ কাজ না হওয়ায় কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করলে বিজেপি কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে বিজেপি নেতারা সড়কের ওপর বসে ধর্না-অবস্থানে বসেন। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতারা। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিজেপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের যে হামলা হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে।’ পুলিশকে ‘দলদাস’ হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠস্বর চাঁপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পার্সট্যুডে। |