শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
ঐক্যফ্রন্ট সংসদে যাবেই
Published : Saturday, 12 January, 2019 at 6:55 PM

জয়নাল হাজারী ॥
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট সর্বমোট আটটি আসন পেয়েছে। গুরুত্বের বিবেচনায় এগুলো খুবই নগণ্য। ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেনি। ঘোষণা করেছে তারা শপথ গ্রহণ করবে না এবং সংসদেও যাবে না। আমার ধারণা আজ হোক কাল হোক ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণও করবে এবং সংসদেও যাবে। সংসদ সদস্যের পদটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিআইপির মর্যাদা তো আছেই আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

যদিও সরকার দলীয় সদস্যের যে রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বিরোধীরা তেমনটি পায় না। তবুও প্রথমেই লোভনীয় যে ব্যাপারটি আছে তা হচ্ছে একজন সদস্য প্রতি দশ বছরে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করতে পারে যা বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা প্রথমেই পকেটে ঢুকানো যায়। তারপরেই আছে লাল পাসপোর্ট, এটা দিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশেই ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় এবং বিমানবন্দরে ভিআইপির মর্যাদা ভালভাবেই পায়। প্রশাসনের উপর খানিকটা খবরদারি করার সুযোগ আছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে উন্নায়ন কর্মকাণ্ডে এমপিদের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও আমাদের দেশে তা পুরোপুরি বিদ্ধামান।

সংসদে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বা দাবি দাওয়া সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়। কথাগুলি কার্যকর হোক বা না হোক জনগণকে জানান দেয়া যায়। ন্যামভবনে একটি হোস্টেল কক্ষ এবং লক্ষাধিক টাকা বেতনভাতা কোন ফেলনা নয়। সমাজে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিচরণ করার সুযোগ রয়েছে। আইনত প্রশাসনিক সকল প্রকার আচার-অনুষ্ঠানে স্বসম্মানে আমন্ত্রণ পাওয়া যায়। দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলেও বিরোধীদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ অনেকটাই কম। তবুও যা কিছু আছে তাও কম নয়। নিজের প্রয়োজনীয় কথা জনসম্মুক্ষে তুলে ধরার সুযোগটাই তো অনেক বড় ব্যাপার। ইতিমধ্যেই কামাল হোসেন একবার যোগ দেয়ার কথা বলেছিলেন পরে হয়তো শরিকদের চাপে পড়ে আবার উল্টোপথে হাটার কথা বলেছেন। তবে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধার কারণে নির্বাচিত এমপিরা কিছুতেই সংসদে না যাওয়ার বিষয়টিকে সহজে মেনে নিবে না। কারণ যেই এলাকা থেকে তারা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেই এলাকায় সংসদে না গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং তিনমাস পর অন্য একজন নির্বাচিত হবেন।

সুতরাং কোন অবস্থাতেই সংসদ বর্জন বা সংসদে না যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। আমার মনে হয়, এইক্ষেত্রে নির্বাচিতরা তারেক জিয়ার নির্দেশও মানবে না। না মানাই উচিত এবং নির্বাচনে যাই হোক না কেন সংসদ বর্জন করলে তার কোন হেরফের হবে না। সেই কারণে আমি মনে করি বিরোধী বা ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত আটজন সংসদ সদস্যের সংসদে যাওয়াই সমিচিন হবে।



সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি