শিরোনাম: |
ম্যালেরিয়া শনাক্ত করবে কুকুর
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() গবেষণায় বলা হয়, গাম্বিয়ার শিশুদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের ব্যবহৃত নাইলনের মোজা যুক্তরাজ্যে নেয়া হয় এবং পরীক্ষার করা হয়। শিশুদের যদি ম্যালেরিয়া থাকে, তবে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কুকুর শনাক্ত করতে পারে। আরও বলা হয়, বিভিন্ন বিমানবন্দরে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত মানুষদের চিহ্নিত করতে এবং রোগের বিস্তার ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কুকুর। তবে এক্ষেত্রে কুকুরকে সরাসরি কাজে নামানোর আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ডারহাম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর স্টিভ লিন্ডসে বলেন, আমরা জানি যে ম্যালেরিয়া বহনকারী মানুষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন করে তাদের নিঃশ্বাসে বা রক্তে। এই গন্ধ প্রকৃতপক্ষে মশা থেকে আসে। আমাদের ধারণা এই গন্ধ শনাক্ত করতে পারে কুকুর। প্রসঙ্গত, ম্যালেরিয়া মশাবাহিত সংক্রামক একটি রোগ, যার মূলে আছে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্টা (এক ধরনের অণুজীব)। ম্যালেরিয়া শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন Torti (1753)। ইতালীয় শব্দ Mal (দূষিত) এবং aria (বায়ু) হতে Malaria (ম্যালেরিয়া) শব্দটি এসেছে। এটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (আনোফেলিস মশা) কামড়ের মাধ্যমে শুরু হয়। স্ত্রী মশার লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টা সংবহনতন্ত্রে প্রবেশ করে যকৃতে পৌছায়। এখানে তারা পরিপক্ব হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। ম্যালেরিয়ার লক্ষণগুলো হল- জ্বর, মাথা ব্যথা, যা গুরুতর হলে কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। |