শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
ফেসবুক লাইভে হাজারীর ভাষণ (০১-০৫-২০১৭)
Published : Wednesday, 3 May, 2017 at 10:46 PM, Update: 04.05.2017 4:47:52 PM

সালামু আলাইকুম আজকে মে দিবস। আজ বক্তৃতার শুরুতেই মে দিবসকে নিয়ে কিছু কথা  তো বলতে হয়। মে দিবস সম্পর্কে সচেতন সমাজ অল্পবিস্তর জানেন। মে দিবস হচ্ছে ১৮৮৬ সনে আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপরে আমেরিকার সিকাগো শহরে এ মাসে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য শ্রমিকে হত্যা করেছিল। তারই স্মরণে দিবসটি পালিত হয় এবং সেদিন থেকে ৪ঠা মে পর্যন্ত যে আন্দোলন হয়েছিল এই আন্দোলনে সমগ্র শ্রমিক শ্রেনী যে সংগ্রামী ভূমিকা ও ঐক্য দেখিয়েছে তাতে শিল্পাঞ্চলের  শিল্পাউন্নত সকল দেশের শাসকরা মাথা নত করেছিল এবং শ্রমিকদের মূল দাবি ছিল ৮ঘন্টা কাজ করা । আগে ১২-১৬ ঘন্টা কাজ করানো হত। এই ৮ ঘন্টা কাজ করানো বিষয়টাকে তারা মেনে নিয়েছিল।  তবে এখানে একটি বিষয় ছিল, আন্দোলনরত নিউ মার্কেটের শ্রমিকদের যখন পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছিল সে সময় কোন এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি পুলিশের ওপর একটি বোমা নিক্ষেপ করে। তখনি পুলিশ বেপরোয়া হয়ে গুলি চালিয়েছিল। তবুও পুলিশরা রেহাই পায়নি ওদের শাস্তি হয়েছিল। এই মে দিবস স্বাধীনতার পরে আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে গুরুত্ব কমে গেছে কিছুটা। আমি পাকিস্তান আমলেও দেখেছিলাম আমাদের ফেনীতে ও মে দিবস পালিত হত। মে দিবস এককথায় আমরা যখন ভাষা আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়ে ভাষাকে ঠিকাতে হয়েছিল একনিভাবে শ্রমিকদের দাবি আদায় করতে হয়েছিল আমেরিকার সিকাগো নগরীর ওই হে মার্কেটে জীবন দিয়ে।
সেরকমই আমাদেরটাও হয়তো একটা বিশেষ পরিমণ্ডলে ওটা ছিল সমগ্র বিশ্বে। যেমন আজকেও চায়নাতে, রাশিয়াতে শিল্পান্নত দেশগুলোতে কেউ কোন কাজ করছে না সবাই রাস্তায়। সমস্ত মানুষ রাস্তায়। তবে আজকে একটা জিনিস আমার ভাল লেগেছে আজকে আমি বেরিয়ে ছিলাম তখনকার মত পরিস্থিতি ঢাকার শহরে আমি দেখি নাই। কোন রিক্সা নাই কোন গাড়ি-ঘোড়াও কম। আমি শুধু চিন্তা করেছিলাম বিএনপি-আওয়ামী লীগ একসাথে যদি হরতাল দেয় তবুও রিক্সওয়ালাদের ঠেকানো আজকাল কঠিন। এটা ঠেকানো যায় না। আজকে মে দিবসে কিন্তু সেই রিক্সাওয়ালারাও প্রায় রিক্সা চালাচ্ছিল না। এটা নিশ্চয় রিক্সাওয়ালারা কেন রিক্সা চালালো না। তাদের মধ্যে কি জানানো হয়েছে। এটা একটু ভাল লেগেছে।

এখন যেটা হচ্ছে মে দিবসে । আমাদের এখানে আজও তবুও এখনও পুরোপুরি মে দিবসের যে দাবিগুলো আদায় করা হয়েছিল সেগুলোকে পুরোপুরি মানা হচ্ছে না, হয় না। এখন আমার মনে আছে আমি পাকিস্তান আমলে ৬৪ সনে প্রথম মাইক ধরে ছিলাম এই মে দিবসে। বালিগাঁওয়ের শ্রমিক নেতা জয়নাল। এরা আমাকে খাজা সাহেবের নিজের একটা কক্ষ ছিল । সেই কক্ষে একটা মিটিং করেছিলসেই মিটিংয়ে। আমার পরিষ্কার মনে আছে এ্যাডভোকেট আকরামুনুজ্জামান ছিল। এখন একটা কৌফিয়ত দিতে হয় সেটা হচ্ছে আমি বোধহয় আমার গত ভাষণে বলেছিলাম ১লা মে তে আমরা একটা কর্মসূচী পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচীটা পালন করা একেবারেই সহজ ছিল। এটা ছিল প্রেস কাবের সামনে মানববন্ধন। কিছু দিন আগ থেকে যারা মানবন্ধনের উদ্যেগ নেবে তারা দু’একজন বললেন এদিন হচ্ছে শ্রমিকদের দিবস। সেদিন শত শত শ্রমিক সংগঠন প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য ভিড় করবে তাদের ভিড়ের মধ্যে আমরা গিয়ে অনাহত একটা ঝামেলায় পড়ব। এটা বোধহয় মে দিবসে করা ঠিক হবে না বিশেষ করে প্রেস কাবের সামনে। সেই থেকেই আমরা মানসিকভাবে এটাকে বাতিল করে রেখেছিলাম । তবুও আমাদের আগের ঘোষণা যেহেতু পুরোপুরি বাতিল করি নাই। যারা উদ্যেগ নিয়েছিলাম উদ্ধেগতাদের মধ্যে সিদ্ধান্ত ছিল এটা আপাতত বাতিল তবে আমার সিদ্ধান্ত ছিল না আমাদের চাইতে আরেকটু ভাল বোঝেন যারা তাদের একজনের পরামর্শে এটা বাতিল করে রেখেছিলাম। কিন্তু আজকে আমি হাইকোর্টের মাজারে গেলাম । হাইকোর্টের মাজার থেকে আমাদের এইটার জন্য কোন লোকজন এসেছিল কিনা এটা দেখার জন্য আমি সামনের দিকে প্রেসকাবের দিকে যেতে চাইলাম। কিন্তু যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। প্রথমে পুলিশ বাধা দিল ।  পুলিশের বাধা যাক বলে কয়ে কোন রকমের পুলিশকে সামাল দেয়া গেল কিন্তু গাড়ি নিয়ে ওই ভিড়ের মধ্যে আর যেতেই পারলাম না। পরে শুনলাম সারাদিনই এভাবে বিভিন্ন শ্রমিক বিশেষ করে গার্মেন্টন্স শ্রমিকদের ভিড়ে ওই এলাকা লোকে লোকারণ্য ছিল। তবুও আমরা এটায় পরিষ্কার পাকা-পাকি ঘোষণা না দিলেও অনেকের মধ্যেই ধারণা ছিল যে আমরা এটা করব ঢাকাতে অনেকেই আগ্রহী হয়েছিল যে এখানে আসবেন। যেহেতু আমরা এটা করতে পারিনাই বা করি নাই । সেজন্য আমি খানিকটা দুঃখ প্রকাশ করছি।
এখন একটা খবর দিই কিছু কিছু মানুষের উপকার হবে হয়তো তাতে। এটা হচ্ছে আমি গত মাসে মালদ্বীপ ছিলাম বেশ কয়েকদিন। খুবই সুন্দর জায়গা। যারা শুধু ঘুরতে বা বিভিন্ন দেশ দেখতে পর্যটক হিসেবে যান বা আমাদের দেশ থেকে যাবেন। তাদের আমি বলি, ওইখানে গেলে খুশি হবেন ভাল লাগবে। চতুর্দিকে সমুদ্র কেবল সমুদ্রের মাঝখানে কতগুল দ্বীপ নিয়ে এই দেশটা এবং এই দেশে অসংখ্য বাঙালি। আশ্চার্য আমি কল্পনাও করি নাই। প্রায় লাখ খানিক বাঙালি হবে। তাদের মধ্যে ফেনীবাসীও হাজার দশেকের কম নয়। ওরা আবার অন্যান্য দেশের বাঙালিদের চাইতে একটু কেমন জানি উদার চেতা। ওরা একটু  ওভারেটিভ। সহযোগিতা করে সবাইকে। আমি যে গেলাম ওরা কি করবে না করবে এটা তারা ভেবেই পাচ্ছিল না। ঘুমজাইতে দিতে ছিল না, খাইতে দিতে ছিল না। শুধু একটার পর একটা দেখা করতে আসে। এদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরাও একটা ছোট-খাট সংবর্ধনার আয়োজন করল। আমি ওদের বললাম অনাহত যদি আওয়ামী লীগের মাধ্যমে আমাকে কোন সংবর্ধনা দেন বা এটাতে পরে আপনারা প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।  তারা বলেছিল কেন?

 আমি বললাম আওয়ামী লীগের পদে আমি এখন নাই। তারা বলছিল আওয়ামী লীগের আপনি পদে নাই এটা আমাদের জানা আছে। যেহেতু এখানে আওয়ামী লীগ করি দুনিয়াদারীর খবর রাখি। কিন্তু আমরা তো এটাও জানি, ৮৬ পরে ৮৬ আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছিল ফেনীতে । সেই আওয়ামী লীগের আপনি জন্মদাতা, আপনি জন্মদিয়েছেন। ৮৬তে তো নির্বাচন করারই কেউ ছিল। আপনি যুদ্ধ করে নির্বাচন করে সেখানে জয়ী হয়েছিলেন। আপনি একজন প্রথম শ্রেনীর মুক্তি যোদ্ধা। আপনাদের শ্রমের অবদানে ত্যাগে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। সুতরাং কে কি বলবে আমরা এসব পরোয়া করি না। আমরা আপনাকে সংবর্ধনা দিবই আপনাকে দিতেই হবে এবং সেখানে তারা যে আন্তরিকতা দেখিয়েছিল এটা অভূতপূর্ব।
এমাসের প্রথম দিনে ভাষণটা দেয়ার সিদ্ধান্ত হলো  যেহেতু আজ মে দিবস। মে দিবসকে স্মরণ করা খুবই প্রয়োজন আমি মনে করি এটা আমার দায়িত্ব। এমাসে আবার আমাদের রমজান। তাও এমাসেই শুরু হবে। আমাদের একরাম হত্যা বা একরামের মৃত্যু দিবস এমাসেই ২০ তারিখে।  আবার সম্ভাবত একরামের মামলার রায়ের কাছাকাছি চলে যাবে এ মাসেই। এতদিন আমরা যারা ভাবছিলাম যে, মামলায় স্বাক্ষী দিবে কে। এ মামলার তো কিছুই হবে না। পরিস্থিতি হঠাৎ কেমন জানি বদলে গেল। এখন বোধহয় গত কালও ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরাও যে স্বাক্ষী দিয়েছেন সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, দোষীরা ছাড়া পাচ্ছে না। এটার জন্য আমাদের যে একরাম হত্যার বিচারে দাবিতে যে আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল সেই আন্দোলনের গুরুত্বটাও কমেছে।
অপর দিকে এ মাসেই আমাদের সাখাওয়াতের মামলাটাও নতুন পর্যায়ে যাবে,নতুন ধাপে উন্নতি হবে। আশাকরি এতে কোন সন্দেহ নাই। সেজন্য এ মাসটা আমাদের কাছে খানিকটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি এবার একে একে যে সব কথার ইঙ্গিত দিয়েছিলাম সেগুলো একটু একটু বলি। একটা হচ্ছে জাহিদের গ্রেফতারে বিষয়টা পরিষ্কার করব।  জাহিদ স্বীকারই করেছিল যেই অস্ত্র দিয়ে সে একরামকে গুলি করেছে সেটা সে বের ও করে দিয়েছে এবং কয়দিন আগেও দেখলাম র‌্যাব ও এটার সাংবাদিক সম্মেলণ করে তার ভূমিকার কথা বলেছে। তার পরও সে জামিন পেয়েগেছিল। এখন তাদের সঙ্গে ঘুরা ফেরা করছিল।

এই জাহিদ আমি যে দিন আমি ২৬ মার্চ সমাবেশ দিলাম হাজারী রোডে সেদিন একমাত্র জাহিদ সে তার কোমরে অস্ত্রটা দেখিয়ে ডিউটি করছিল। আমাদের লোকজনকে যারা হাজারী রোডে ঢুকতে দিচ্ছিল না তাদের মধ্যে অন্যদের হয়তো অস্ত্র ছিল কিনা আমি জানি না। তাদেরটা থাকলেও তারা আড়াল বা কোমরে গুঁজে রেখেছিল । কিন্তু একমাত্র জাহিদ তার শক্তি সামর্থ্য প্রভাব বোঝানোর জন্য সে তার অস্ত্রটা কিছুটা প্রকাশ্যে রেখেছিল এবং আমাদের লোকজনের মারধরের প্রশ্নে ভূমিকা রেখেছিল। যাই হোক ওদের পক্ষে এই ২৬ শে মার্চ এত কাজ করেছে বা দায়িত্ব পেয়েছে এখন হঠাৎ করে তাকে আবার গ্রেফতার করানো হলো কেন? এই প্রশ্নটা তো স্বাভাবিকভাবে আসে আসতেই পারে। এই প্রশ্নের অন্য উত্তরের দিকে যাব না। দীর্ঘদিন ধরেই ওকে ভয় পাচ্ছিল বড় বড় নেতারা। তবে ছেলেটা একটু বোকা কিংবা আবেগী।
যেমন কোন একটা কারণে সে সম্প্রতি বলে বেড়াচ্ছিল গোপনে নয় খানিকটা প্রকাশ্যে যে, ভুল করেছি। একরামকে না মেরে এইটাকে মেরে দিলে আমাদের এত দুর্গতি হত না। অনাহত একটা ভুল করে একরামকে মেরে ফেললাম। ভুল হইছে এই ভুলের কিছুটা খেসারত আমাদেরকে তো দিতেই হবে। এই কথাটাই শুনতেছি যে মূল কারণ। তার পরবর্তীকালে গ্রেফতার করানো। আবার শুনেছি গতকাল অডার হয়েছিল আজকে তাকে আবার রিমান্ডে নিয়েছে। আগেও তার উপর নির্যাতন হয়েছে। এবার বোধ হয় আরও নির্যাতন হবে। যাতে সে মুখ না খোলে অথবা এমনকি আমি সন্দেহ করি তাকে ক্রোসফায়ারও দিয়ে দিতে পারে। নতুবা যেভাবে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। আসল সব কথাই বলে দিবে। এই জন্যই মিস্টার তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ছিল। তার বক্তাব্য হল সে তো গ্রেফতার হলে অনেক কিছু ফাঁস করে দিবে। এতে তো আমাদের ক্ষতি হবে। এ নিয়ে সেন্ডিকেট নেতার সঙ্গে শুনেছি মিষ্টারের কিছু টানা-পোড়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটা পরিষ্কার নয়। তবে এই জাহিদকে ছাড়াও অনেক বিষয়ে সেন্ডিকেটের মধ্যে বিরোধ-বিবাদ দেখা দিয়েছে। এটা মনে হয় কেননা সেন্ডিকেট এই জাহিদকে গ্রেফতার করাইলো । এই দিকে মিষ্টার লোকজন নিয়ে প্রতিদিন কোর্টে দেখা করতে যায়। এটাও তাদের মধ্যে একটা ডিভিশন। এগিকে রহমান বিকমও কয়দিন আগে একটি প্রতিনিধি সভা গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে ছনুয়াতে। তাকে সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। এই জন্য সে ইতিমধ্যে বেশ কিছু বলেছে আমাকে মূল্যয়ন করা হচেছ না ইত্যাদি। এটা কিন্তু আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের জানালেও ফেনীর নেতারা এখন টের করতে পারে নাই। কেন্দ্রীয় একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা বলেছে ঠিক আছে আপনার কিছু করার দরকার নাই। আপনি যখন থাকতে চান না। আমরা পুরো জেলার কমিটি টাই বাতিল করে দেব। নতুন করে কমিটি করব। কমিটি কিভাবে হবে সেরকম কথাও বাজারে বের হয়েছে।  কিছু বিশ্বাস যোগ্য কিছু বিশ্বাস যোগ্য নয়। এখন জাহিদের বিষয়টা কোন দিকে যায়। খানিকটা দেখার বিষয়। আমি বোধ হয় একরাম হত্যার একেবারে শুরু থেকেই বলেছিলাম ”এটা আল্লাহর বিচার কখনো ভুল হয় না”। পাপ-বাপকেও ছাড়ে না। সুতরাং যারা পাপ করেছে হঠাৎ করে কিভাবে মোড় নিল । এই মামলাটায় এখন কারও কিছু হবে না। এ কথা বলা যাচ্ছে না নিশ্চিতই যারা দোষী তারা ছাড় পাবে না। সেই পর্যায়ে চলে গেছে।
এখন সেন্ডিকেটের পরিস্থিতি আরও একটা ঘটনা ঘটেছে তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেমন আবের নির্বাচনে আব্দুল্লাহ পরাজিত হয়েছে। সব সময় শুনে আসছি আব্দুল্লাহ  সেন্ডিকেট নেতার ভাগ্নি জামাই। এখন সেই ভাগ্নি জামাইয়ের জন্য সেন্ডিকেট নেতা ঢাকায় অনেক চেষ্টা তদবির টাকা-পয়সা খরচ করেছে এবং কোন এক যুব নেতার সঙ্গে কণ্ট্রক ও হয়েছিল । আব্দুল্লাহ  পারে নাই।  এতে শুধু আব্দুল্লাহ নয় সমগ্র সেন্ডিকেটেরই ভাবমূর্তী দারুণভাবে নষ্ট  হয়েছে অন্তত ঢাকাঞ্চলে ফেনীবাসীর কাছে। এদিকে আবার কিছুটা টানা-পোড়ানোর সৃষ্টি হয়েছে এবং কিছু কথা বাইরে রটছে এদিকে শোনা যাচ্ছিল এই যুব নেতা আবার ঢাকা থেকে এমপি নির্বাচন করবে। এখন আব্দল্লার লোকেরা রাস্তায় রাস্তায় বলছে আমাদেরকে যখন এখানে বেয়জ্জতি করছে এমপি গিরি খাওয়াই দিমু ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কথা । যাই হোক মোট কথা এটাও সেন্ডিকেটকে খাট করেছে। সেন্ডিকেট দুর্বল করেছে ।
এগুলো সমন্নিতভাবে-সম্মিলিতভাবে একত্রিত করলে এটা একেবারেই পরিষ্কার

যেহেতু নির্বাচন অল্পকয়দিন পরে সমস্ত দিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে তাদের অবস্থা খারাপ। নির্বাচনে যে সেন্ডিকেট নেতারা আর নমিনেশন পাবে না  এতে কোন সন্দেহ নাই। প্রতিদিনই তো নেতারা আওয়ামী লীগ নেতারা ওবায়দুল কাদের প্রতিদিনই বলছে এরা নমিনেশন পাবে না। এখন যদি নমিনেশন না পায়। এমপিও না থাকে এই যেসব ঘটনা চলতেছে এই ভাবে চলতে থাকলে তাদের অস্তিত্ব তো খুঁজে পাওয়া যাবে না আল্লাহর রহমতে। আমরা কিছুই করতে পারিনাই যদিও। আল্লাহর তরফেই হচ্ছে।
এবার আমি আওয়ামী লীগের একটি তথ্য সবাইকে জানিয়ে রাখি এটা কিছুটা কাজে লাগতে পারে। যেমন খাজা আহম্মেদ কিন্তু আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ১৯৬৪ সনে । চিটাগংয়ের জেমসসন হলে সেদিন আমিও ছিলাম আলতাফ নামে ফেনী কলেজের সাবেক একজিয়েস সেও ছিল। আর আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে ১৯৪৮ সনে। কিন্তু অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই বুঝি খাজা সাহেব আওয়ামী লীগে ছিলেন। আসলে খাজা সাহেব এর অনেক পরে আওয়ামী লীগে যোগ  দিয়েছিলেন। আরেকটা হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত  প্রথম সভাপতি ছিলেন ফেনীর তালেব আলী, খাজা সাহেব না। বরং সেই দিনকার কাউন্সিলের ডিভিশনে ভোটা-ভোটি হয়েছিল এবং সেই ভোটা-ভোটিতে তালেব আলীর কাছে খাজা সাহেব পরাজিত হয়েছিলেন। খাজা সাহেবের একটা মহানুভবতা ছিল উনি সেদিন ওই পরাজয়ের তালিকায় দস্তগত করে দিয়েছিলেন এবং ওটাকে সাদরে মেনে নিয়েছিলেন। আর প্রথম সভাপতি ছিল আমাদের বৈশেখ পুরের মননা আব্দুল রব সাধারণ সম্পাদক ছিলেন  আমাদের ফুলগাজীর টুকটাক হুুদা। এই বিষয়গুলো বোধ হয় হালকা পাতলাভাবে আমাদের ফেনীর আওয়ামী লীগের ইতিহাসের কারণে জানা থাকা দরকার। সেদিন কিন্তু আজকের সভাপতি আমাদের আব্দুল রহমান বিকমও তালেব আলীর পক্ষে ছিলেন। খাজা সাহেবের পক্ষে ছিলেন না। এটা এমনেই যাষ্ট একটা সত্যটা জানার জন্য ফেনী জেলা প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিল তালেব আলী। আমি আবার বলেছিলাম বোধ হয় সেদিন পুলিশি অভিযান চলছিল শনিবারে । এই অভিযানটির খবর শেষ হলে দিব কিন্তু দেবার কিছু নাই। সব আই ওয়াস, সব প্রহাসন। কোন ঘটনাই নাই। একটা লোক গ্রেফতার করেছে ফাহালিয়ার পিয়ন। এই জাতীয় আরও ৩-৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।  অথচ ভরপুর অস্ত্র-ভরপুর ইয়াবা ভরপুর ফেন্সিডিল, ফেনীতে মাদকের ব্যবসা রমরমা। অথচ এতবড় অভিযান শত শত পুলিশ নিয়ে অভিযান বলা হচ্ছে ব্লক রেইড। কেউ এদিক ওদিক পালাতে পারবে না। যে যেখানে আছে ওখানেই অবস্থান করতে হবে। শুনতে খুবই ভাল লাগল সবাই খুশি হল । পরে রেজাল্ট শূন্য। এই ধরনের আমার মনে হয় ঘটনা পুলিশের করা উচিত নয়।
এই জন্য পরবর্তী সময় পুলিশ যখন বড় অভিযান করবে বা করতে চাইবে মানুষের আস্থা হারাবে। সেদিনের এই অভিযানে নিশ্চয়ই অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়েছে। অনেক পরিশ্রম হয়েছে। কিন্তু তাতে আমাদের কোন আশার বাণী মানুষ শুনতে পায়নি। এটা মানুষ নিজেরা খুবই হতাশ হয়েছে।
এখন সেন্ডিকেটের আরেকটা নমুনা হচ্ছে, তারা যে খানিকটা দুর্বল হয়ে গেছে তার একটা নজির রয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তে বর্তমান সময়ে অনেক নেতা দেশের বাইরে। আলাউদ্দিন নাসিম বাইরে , সেন্ডিকেট নেতা বাইরে, মেয়র ডুলা বাইরে, এদিকে আবার দিদার মামুনও বাইরে । এরা আবার মালদ্বীপে গেছে। কার কাছে শুনছে আমি গেছি। ওখানে খুব আদর যতœ করে ওখানকার লোকেরা। জানিনা কি পরিস্থিতি মোটকথা বড় বড় নেতাদের মধ্যে একটা প্রবণতা এই মুহূর্তটা সবাই কেন জানি বাইরে। এত নেতা ও রহমান বিকমও বাইরে।  এদিকে সুসেন ও বাইরে। সুসেন বাইরে এই জন্যে তার গলায় জটিল সমস্যা দেখা দিছে।  আগেও সিংগাপুর থেকে সে চিকিৎসা করিয়েছিল সিংগাপুর থেকে দেশে এসে একটু  কয়দিন আগে সমস্যা হয়েছিল ।  এখন আবার ইউনাইটেড হসপিটালে গেলে তারা বলছে যে দেরি হয়ে গেছে আবার সিংগাপুর যান আমাদের পক্ষে সম্ভাব না। মোট কথা পরিস্থিতি খারাপ। আর বড় বড় বক্তৃতা বোধ হয় চলবে না। এটা সেই একই জিনিস । আল্লাহর মাইর,পাপ কাউকে ছাড়ে না। আজকে আমার কাছে খুব বেশি কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নাই। তবে একটা পয়েন্ট আজকের ভাষণের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। সে পয়েন্টা বলার আগে একটা কাহিনী ছোট্ট করে  বলি।
 সেটা হচ্ছে  আমরা ছেলেবেলায় একটা ছবি দেখেছিলাম জেমিনির। জেমিনির ছোটবেলার ছবি হলেই মানুষ হলভর্তি হয়ে যেত খুব নামকরা জেমিনি কোম্পানিটা। তার ছবিটার নাম ছিল বহুতদিন ঘুরে। ওটা ছিল বোম্বাইয়ের ছবি। রতন কুমার নামে একটা বাচ্ছা ছেলে অভিনয় করেছিল। রতন করেছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ অভিনয়। সে বহুতদিনঘুরেত দুই রাজার মধ্যে যুদ্ধ লেগেছিল সেই যুদ্ধের সময়  একজন ছিল যাদুকর । সে যাদুদিয়ে বিপক্ষের সমস্ত সৈন্যকে পাথর বানিয়ে ফেলে। পরে পাথর যাকে বানিয়েছে  তারই একটি ছেলে বেঁচে ছিল বাইরে। সে আস্তে আস্তে বিভিন্ন কৌশলে ওই যাদুকরকে হত্যা করে ফেলেছিল একটা পাখিকে মেরে ফেলাতে। পাখিটা মরে গেছে সৈন্যরাও জীবিত হয়ে উঠেছে। তার আগে তারা অনেক বছর ধরে পাথর হয়েছিল। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আমার ফেনীঞ্চলে যে যেখানে যেটাই করছে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না। যেন আমরা সবাই পাথর হয়ে গেছি। কখন কবে সেই ছেলেটি বড় হবে সে আবার এই যাদুকর যে যাদুকরা আজকে ফেনীবাসীকে পাথর করে রেখেছে। তাদের টুটি টিপে ধরবে কোন পাখি কিসের টুটি চেপে ধরবে কবে আমরা মুক্ত হব জানিনা। দুর্ভাগ্য আমি শুধু একটা ঘটনা বলি। শনিবার ১৫ এপ্রিল কলেজ অঞ্চল, পাইলট হাইস্কুল অঞ্চলে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা হচ্ছিল। ঠিক পরীক্ষা চলাকালে ঠিক ১০:৩০টায় একটি হেলিকপ্টার এসে নামল। এই হেলিকপ্টার এসে নামার অর্থই হল বিকট শব্দ, শব্দ দূষণ। ধূলাবালিতে এখন যেখানে ১৭ নম্বর ছিল ওখানে যে বিল্ডিং অসংখ্য ছেলেরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। ধূলাবালি আর শব্দে তারা একাকার তাদের মধ্যে আতঙ্ক অন্য দিকটায় যেখানে হেলিকপ্টারটা নেমেছে তার থেকে মাত্র ১০০০ গজ দূরেই হাজার হাজার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে। শব্দ দূষণ আছে ধূলাবালির বিষয় আছে এই যে পরীক্ষা ১৪৪ ধারা জারি আছে । ওখানে আমাদের মহিলা ক্যাডেট কলেজের ছাত্রীদের সিট আছে। তাদেরকে নেয়ার জন্য যে বাস আছে বাসও মোঙ্গল সুইসয়ের কাছে থাকে এদিকে আসে না। সেখানে হেলিকপ্টার নিয়ে আলাউদ্দিন নাসিম নামল ১০:৩০ মিনিটে। ইচ্ছা করলে স্টেডিয়ামেও নামা যেত, ইচ্ছা করলে সে যে উদ্দেশ্যে আসছে কাকে জানি বিদায় দিতে ইউনিভার্সিটিতে সেখানেও অনেক খালি জায়গা ছিল সেখানেও নামা যেত। এখন আমরা তো তাদের ক্ষমতা দেখেছি। তাদের ক্ষমতা আছে স্বীকার করি তো , তাদের টাকা আছে স্বীকার করি তো হেলিকপ্টারেই তারা চলবে। তাদের ইচ্ছা মত চলবে তবে এত দেখানো কি দরকার দেখাও । আমরা তো দেখেছি আমাদেরকে আর দেখিয়ে লাভ কি? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হেলিকপ্টারে তোমার টাকার ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে এতগুলো ছেলেকে এই কষ্ট দিয়েছ । অনেক ছেলেদের পরীক্ষার যে ১৫-৩০মিনিট বিঘœ ঘটেছে এর দায়িত্বটা কে নিবে? তার তাইতে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় এই এত বড় ঘটনা এত বড় একটা জঘন্য রকমের ছোট কাজ এটার জন্য কোন ছাত্র প্রতিবাদ করে নাই । কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করে নাই। কোন অভিবাবক প্রতিবাদ করে নাই। কোন সংগঠন প্রতিবাদ করে নাই। কোন দল প্রতিবাদ করে নাই। কোন সাংবাদিক একটি কথাও লেখে নাই। সেজন্যই আমি শুধু বলছিলাম, আমরা সবাই এখন পাথর। আমরা যে যেটাই করি আলাইদ্দিন নাসিম এটা নয় । একেবারে ছেলেদের মাথার ওপর বসে যদি দু’চারটা ছেলেকে মেরেও ফেলত তবুও কোন প্রতিবাদ হত না, কোন সাংবাদিক কিছু লিখত না।

সেজন্য ভাবছিলাম কখন আসবে সেই ছেলেটি সে তার বাপকে ও সেনাবাহিনীকে মুক্ত করেছিল।  তবে মনে হয় আসবে। মনে হয় রওনা হয়ে গেছে। বেশিদিন নাই । আমি একটা পরীক্ষা করেছি ২৬ তারিখ । সেই ২৬ তারিখে কি দেখা গেছে কি হতে পারে সেন্ডিকেট জান্ত তাই নিজে ৩-৪ বার টহল দিয়েছে হাজারী রোডে অথবা যদি এই সব না করত অথবা যদি এইসব ডিউটি না দিত ব্যাপকভাবে তবে সেদিন বিশ্ব রেকর্ড হত। আমিও যাব আবার সমাবেশ হবে। হয়ত সেদিনই সব ভেসে যাবে। আল্লাহর রহমতে হতাশ হবে না। আমি বার বার ফেনীবাসীকে বলি আপনাদের হয়তো বা সময় গেছে বলে হতাশা ঘিরে ফেলেছে। কিন্তু আমি বলছি হতাশ হবেন না। সময় বেশি নাই আর বেশি ধের্য্য ধরতে হবে না। এখন বিশেষ করে সর্বোচ্চ যদি লাগে নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে পর্যন্ত। যেই মূহুর্তে খবর পৌঁছবে নমিনেশন পাচ্ছে না পায় নাই নিশ্চিত সেই মূহুর্ত থেকেই পালাতে থাকবে এখনই তো তারা এখনইতো তারা  বিদেশে গিয়ে বোধহয় ঘরটর ঠিক করছে বা আমিও কিন্তু বিদেশে যাই। আমি কিন্তু অন্যদেশে না আমার তো কাজ নাই আপাতত সেজন্য আমি সময় কাটাবার জন্য মাঝে মধ্যে চিকিৎসার জন্য কি হয়েছে জানি না বিশেষ করে আমার বাম চোখটা আমি যখন বাইরে বিশেষ করে মালয়সিয়া থাকি তখন চোখট ঠিক থাকে।  
কিন্তু যখন দেশে আসি দু’একদিনের মধ্যেই এটা একটু ডিস্টাব করে। যাই হোক বোধ হয় বিদেশে যাওয়াও বন্ধ করতে হবে। আগামী রমজান মাসটা পার হলেই আলামত দেখতে পাবেন। এই ঈদের পরে কিছু আলামত শুরু হবে। আর কত দিন বসে থাকব মরার তো সময় হলো। সেজন্য ওরা কিছু কিছু ফালতু ফালতু কথা বাজারে ছাড়ছে। যেগুলো বোধ হয় বলা ঠিক হবে না দরকারও নাই। আমি শুধু এইটুকু বলি সব কিছুর শেষ আছে। এদের এটার শেষ হবে। ওই যাদুকরের যাদু বিদ্যাও শেষ হয়েছিল । এদের এই কর্মকাণ্ডের অবশান হবে। কেউ রুখতে পারবে না। যেমন কাজী নজরুলের সেই ঐতিহাসিক কবিতাটি কান্ডারি হুঁশিয়ার আপনারা জানেন ,


দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার!!

সুতরাং আমাদের তরী পার করতেই হবে। শুধু আমার অনুরোধ ফেনীবাসী আপনারা আরেকটু সাহস করুন। সাহস করে এগিয়ে আসুন।  আরেকটু অগ্রগামী হোন, আরেকটু সংগ্রামী ভূমিকা নেন। আমি আধাঘন্টায় বক্তৃতা শেষ করবে বার বার বলেও শেষ করতে পারি না। আজকেও আধাঘন্টা হয়ে গেছে। আপনাদের আর কষ্ট দিব না। এখন আপনাদের শুধু আবার বলি

উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
"ভয় নাই, ওরে ভয় নাই--
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।'
”জয় বাংলা”







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি