শিরোনাম: |
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ড(নাঙ্গলকোট)'র সদস্য পদপ্রার্থী এ কে এম বাহাউদ্দীন কোরাইশী
|
![]() আসন্ন কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ড(নাঙ্গলকোট উপজেলা)'র উটপাখি প্রতিক মার্কায় সদস্য পদপ্রার্থী এ কে এম বাহাউদ্দীন কোরাইশী (শুভ খান)। তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হরিপুর উত্তর পাড়ার মোঃ হারুন-উর-রশিদ ও মিসেস নার্গিস আক্তারের গর্বিত সন্তান। শুভ খানের বাড়ি মেজ সাববাড়ি নামেও পরিচিত। শুভ খান ১৯৮৫ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে এস এস সি, ২০০৫ সালে এইচ এস সি, ২০১০ সালে বি বি এ ও ২০১১ সালে এম বি এ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি যমুনা ব্যাংক লিমিটেড এর নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকা মতিঝিল-২ দিলকুশা হেড অফিসে কর্মরত আছেন। তার পিতা মোঃ হারুন-উর-রশিদ, আবুল খায়ের স্টীল মিল এর অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার। মাতা- মিসেস নার্গিস আক্তার, ঢাকা পিলখানায় বি জি বি পরিচালিত বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষিকা। ভাই মেজর সামিউর রশিদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এস পি পি, ই বেংগল এর অধীনে সেনা প্রধানের উপ-সামরিক সহকারি পদে কর্মরত আছেন। বোন- মারিয়া নাজরীন, ঢাকা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ কে এম বাহাউদ্দীন কোরাইশী(শুভ খান) ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। পারিবারিক ভাবে তারা আওয়ামী পরিবার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৫ সালে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছিলেন বর্তমানেও তিনি রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন। এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে সব সময় বিভিন্ন প্রোগ্রাম, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং দলীয় প্রোগ্রামগুলোতে উপস্থিত থেকে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথেও জড়িত আছেন। শুভ খান ২০০৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। এবং ২০১১ সালে যমুনা ব্যাংকে চাকুরী শুরু করার কারণে আওয়ামীলীগের কোন পদ না নিলেও আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে সবসময় ছিলেন এবং বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্যদের সাথে তার সু-সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ কে এম বাহাউদ্দীন কোরাইশী শুভ খান আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস কামাল এম পি এর কাছে নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন এ অংশ গ্রহণ করতে চান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তরুণ নেতৃত্ব এবং তরুণ রাজনীতিক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চান। এছাড়া তিনি মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)এমপি এর হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে চান। তাঁর দাদা মরহুম হাসানুজ্জামান খানের মেজো ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য ডাক্তার এ কে এম কামরুজ্জামান খান (বিশ্ব বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ )। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে দেশের সকল প্রার্থীর সাথে একযোগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে উনি আমেরিকাতে অবস্থান করছেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পন্ন জড়িত আছেন। তার পারিবারিক সম্পত্তিতে নাঙ্গলকোটের প্রতিষ্ঠানসমূহ : পরিচালনায় ডাক্তার এ কে এম কামরুজ্জামান খান সাহেব : তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানসমূহ : ১. নাঙ্গলকোট এ আর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। ২.নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ। ৩. বেগম জামিলা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়। ৪. ডাক্তার কামরুজ্জামান কিন্টারগার্ডেন। ৫.বালিকা মাদ্রাসা। ৬.বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল। ৭. নাঙ্গলকোট প্রাইমারি স্কুল। ৮.টিএনটি অফিস। ৯.ডাক্তার কামরুজ্জামান মানসিক হাসপাতাল। ১০.নাঙ্গলকোট সরকারি হাসপাতালের (অধিকাংশ সম্পত্তি)। ১১.হাসান জামিল ফাউন্ডেশন এবং আলী আহাম্মদ ফাউন্ডেশন এবং রওশন রফিক একাডেমী মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তার এবং গরীব দুঃখী মানুষের সাহায্যের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে আছে যাহা সব সময় অব্যাহত আছে। দাদা মরহুম মৌলভী আলী আহাম্মদ সাহেবের বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী ফারুকী(বাচ্চু মিয়া) ছিলেনঃ ১. ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক। ২.১৯৭১ নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত। একেএম মনিরুজ্জামান খান (ডাক্তার এ কে এম কামরুজ্জামান সাহেবের ভাতিজা ) ১.২০১৪ সালে নাঙ্গলকোট পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হন। মরহুম আরিফুর রহমান এবং উনার ওয়ারিশদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবদান সংক্ষেপে আরিফুর রহমান: (১৮৬৬-১৯২৩), পেশা: শিক্ষকতা, অবদান: ১৮৯২ হরিপুর নিজ গ্রামে মাদ্রাসা স্থাপন, পরবর্তীতে আরাকিয়া জুনিয়ার মাদ্রাসা এবং বর্তমান নাঙ্গলকোট মডেল সরকারি বিদ্যালয় নামে পরিচিত। মরহুম মৌলভী হাসানুজ্জামান খান সাহেব (১৯০০-১৯৬৮), পেশা : শিক্ষকতা। অবদান : ১৯২৭ সালে নাঙ্গলকোট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত করেন। ১৯২৮ সালে কুমিল্লা কো- অপারেটিভ ডিরেক্টর পদে নির্বাচিত । ১৯২৯ সালে লাকসাম কো- অপারেটিভ ব্যাংক শাখার প্রতিষ্ঠাতা। ১৯২৯ সালে কুমিল্লা জেলা বোর্ড সদস্য নির্বাচিত। ১৯৩২ সালে নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ১৯৩৪ সালে লাকসাম কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সেক্রেটারি নির্বাচিত। ১৯৩৭ লাকসাম- হাজিগঞ্জ -চৌদ্দগ্রাম আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত। ১৯৩৮ সালে রেলওয়ে বোর্ডের মেম্বার নির্বাচিত এবং প্রথম রেলওয়ে বোর্ডের বাঙালি মেম্বার। ১৯৪১ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত। ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় বার নাঙ্গলকোট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ১৯৫৫ সালে তৃতীয়বার নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৪১ সালে নাঙ্গলকোট নিজের বাবার নামে নাঙ্গলকোট এ আর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬২ সালে এম এল এ সংসদ সদস্য নির্বাচিত। ১৯৬২ একই বছর ত্রাণ ও পূর্ণবাসন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। ১৯৬২ একই বছর পার্লামেন্ট হুইপ মনোনীত হন। ১৯৬৩ ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত হন। মরহুম মৌলভী আলী আহাম্মদ (১৯০৫-১৯৮৫), পেশা :শিক্ষকতা। অবদান: ১৯৪০ সালে তৎকালীন নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ১৯৪০ সালে লাকসাম থানা উন্নয়ন কমিটির থানা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ১৯৪১ সালে বড় ভাই সহযোগী হিসেবে পিতার নামে এ আর স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪২ সালে কুমিল্লা জেলা জজকোর্টের জুরির হাকিম হিসেবে নিয়োগ। ১৯৪৫ সালে পুনরায় নাঙ্গলকোট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এবং লাকসাম থানা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ১৯৫০ সালে নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত। ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলা বোর্ডের মেম্বার নির্বাচিত। ১৯৬৮ সালে কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ১৯৭৬ সালে কেন্দ্রীয় কো-অপারেটিভ সম্বলিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত। ১৯৬৮ সালে নাঙ্গলকোট কলেজ প্রতিষ্ঠা। ১৯৮০ সালে তৎকালীন নাঙ্গলকোটকে পল্লীতে নিয়ে আসা এবং নাঙ্গলকোট থানা ঘোষণা এবং বাস্তবায়ন কমিটি মেম্বার। অতঃপর পারিবারিক ঐতিহ্যের সাথে তালমিলিয়ে নিজেকেও জনগণের সেবায় নিয়োজিত রাখতে চান কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ড(নাঙ্গলকোট)'র সদস্য পদপ্রার্থী এ কে এম বাহাউদ্দীন কোরাইশী(শুভ খান)। |