শিরোনাম: |
আত্মগোপনে যাওয়ার পাঁচ মাস পর কিশোর উদ্ধার
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
|
![]() বুধবার চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ। র্যাব জানায়, গত বছরের ডিসেম্বর ১০ তারিখ দুপুর ২টার দিকে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাসায় মোবাইল ফেলে আত্মগোপনে চলে যায় কিশোর অভিক। দীর্ঘ সময় মোবাইল নিয়ে পাবজি গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তার বাবা মা তাকে শাসন করতো। এক পর্যায়ে বাবা-মার কাছ থেকে ‘তোমার রোজগার তুমি করে খাও’—এমন কথা শোনার পর ওই কিশোর রাগ করে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার পর আত্বীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর চকবাজার থানায় তার মা বাদী হয়ে জিডি করেন। এরপরও তার কোন খোঁজ না পেয়ে ২৬ মার্চ ৩ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে চকবাজার থানার মামলা ও জিডির কপিসহ র্যাবকে জানানো হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করলে শুক্রবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১০টায় চান্দঁগাও থানা মোড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ কিশোরের বরাতে র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর জানিয়েছে, ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নাম বদলে অলংকার মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেয়। এক মাস পর রেস্টুরেন্টে কর্মচারীর সঙ্গে রাগারাগি করে সেখান থেকে চলে আসে। পরে চান্দগাঁও নতুন থানার মোড় নিউ চান্দগাঁও রেস্ট হাউজে কাজ শুরু করে। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের একটি গ্রুপের সাথে অভিকের চলাফেরা ছিল। এ গ্রুপের সদস্যরা পরস্পর এডাল্ট ভিডিও শেয়ার করতো ও ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। পাবজি খেলার পাশাপাশি অভিক এসবে আসক্ত হয়ে পড়ে। সে গোপনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক একাউন্ট চালাতো ও বেনামি ৫/৬টি সিম ব্যবহার করতো। তিনি আরও বলেন, পড়াশুনা প্রায় ছেড়ে দিয়ে সারাদিন এসব নিয়ে পড়ে থাকতো বলে বাবা-মা কড়া শাসন শুরু করলে সে তার গ্রুপের অন্যান্য প্রাপ্তবয়স্কদের মতো 'স্বাধীনতা' ভোগ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার হদিস যেন কেউ না পায় এজন্য ব্যবহৃত মোবাইলটি বাসায় রেখে যায়। পরে নয়ন দে ছদ্মনামে একটি ফেসবুক একাউন্ট খোলে। আত্মগোপন থাকাকালে সে নিজেকে নয়ন দে পরিচয় দেয় এবং একেক সময় একেক ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য উদ্ধার হওয়া কিশোরকে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। |