শিরোনাম: |
নতুন সভাপতিকে শপথ পড়ালেন মিশা
বিনোদন প্রতিবেদক
|
![]() শিল্পী সমিতির এই শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এফডিসিতে বসেছিল অভিনয়শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকদের মেলা। আরও এসেছিল টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক। কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয় শপথ অনুষ্ঠান। এরপর সাবেক সভাপতি মিশা শপথ বাক্য পড়ান নতুন সভাপতিকে। যদিও নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পড়ানোর কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য বিএইচ নিশান ও জাহিদ হোসেনের। শনিবার রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান এমনটাই জানিয়েছিলেন। এই পরিচালক বলেছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন এফডিসিতে অবাঞ্ছিত। তিনি শপথ পড়াবেন না। নির্বাচন কমিশনের অন্য দুই সদস্য বিএইচ নিশান ও জাহিদ হোসেন প্রথমে সভাপতিকে এবং পরে অন্য সদস্যদের শপথ পড়াবেন। কিন্তু রবিবার বিকালে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। শপথ পাঠের পর সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন তার টিম নিয়ে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ঢোকেন। সেখানে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন ফুলের ডালি দিয়ে নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। দলে দলে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন শিল্পীরাও। তাদের মধ্যে ছিলেন ভোটাধিকার হারানো অনেক শিল্পী। এছাড়া সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগরও ফুলের তোড়া দিয়ে কাঞ্চন-নিপুণদের শুভেচ্ছা জানান। রবিবারের শপথ অনুষ্ঠানে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের জয়ী প্রার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীর, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ ১৭ সংগঠনের অনেক সদস্য। তারা সকলে শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সর্বাঙ্গিণ সাফল্য কামনা করেন। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। এবার দুইবারের সভাপতি মিশা সওদাগরকে হারিয়ে প্রথমবার সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিলেন জায়েদ খান। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নিপুণকে। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একটি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল, অন্য মিশা-জায়েদ প্যানেল। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয় পেয়েছে কাঞ্চন-নিপুণরা এবং সহসভাপতি দুটি পদসহ মোট ১০টিতে জিতেছে মিশা-জায়েদরা। এবার মোট ভোটার ছিল ৪২৮ জন। ভোট দেন ৩৬৫ জন শিল্পী। |