শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
বিএনপির সমর্থক হয়ে থাকব, অন্য দলে যাবো না: তৈমূর
নিজস্ব প্রতিবেদক,
Published : Wednesday, 19 January, 2022 at 7:46 PM

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পর দল থেকেও বহিষ্কার হয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এ নিয়ে খুব বেশি আক্ষেপ না করে বললেন, ‘বিএনপি বহিষ্কার করলেও দল পরিবর্তন করব না, অন্য কোনো দলেও যোগ দেব না। দলের একজন অনুগত কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাব।’

বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে হাতি প্রতীকে নির্বাচন করেন তৈমূর আলম খন্দকার। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেন।

নির্বাচনের কয়েক দিন আগে তাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এরমধ্যে মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করা হলো।

একই দিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও বহিষ্কার করা হয়। তিনি তৈমূর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘বিএনপির যারা আমাকে নির্বাচন চলাকালে অব্যাহতি দিয়েছিল, এখন বহিষ্কার করেছে। এর অর্থ হলো তৈমূরকে ভোটটা দিও না। তারাই পল্টন অফিস থেকে আমার অনেক নেতাকে বলেছিল তৈমূরের পক্ষে যেও না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের বিএনপি তো ভোটটা দেবে, কাকে দেবে? তাদের কথায় প্রমাণ হয় ভোটটা নৌকায় যাবে, এটাই চেয়েছিল তারা। আমি ভাবতেও পারিনি দলীয় মহাসচিবের কথা কচুপাতার পানিতে পরিণত হবে। কারণ, মহাসচিব বলেছিলেন- দলগতভাবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, কিন্তু কেউ ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় নির্বাচনে গেলে দলের কোনো আপত্তি থাকবে না।’

নাম না উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেন্দ্রিক কিছু নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে তৈমূর বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে বা দল থেকে তো আমাকে একবারের জন্যও বলেনি আপনি নির্বাচন কইরেন না। তাহলে দলের যারা পল্টন অফিসে বসে নারায়ণগঞ্জের নেতাদের আমার নির্বাচনে যেতে নিষেধ করেছিল তারা অবশ্যই চেয়েছিল ভোটটা নৌকায় পড়ুক।‘

সামনের দিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দল আমাকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে মুক্তি দিয়েছে, এখন আমার সামনে দুটি কাজই খুঁজে পেয়েছি। একটি হল যাকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেন সদ্য বহিষ্কৃত এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেবা তিনি যেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন। ইতিহাসে আপনার নাম লেখা থাকবে। যদি অনুমতি না দেন, তবে কি বিপর্যয় হবে সেটা ভবিষ্যত বলে দেবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে যা করার করেছে কিন্তু এটিএম কামালের মতো নেতাকে বহিষ্কার করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের শামিল। কারণ, বিএনপি করতে গিয়ে ত্যাগী এটিএম কামাল বহুবার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। আরেকজন এটিএম কামাল সৃষ্টি করা নারায়ণগঞ্জে খুবই কঠিন হবে।’

পরাজিত প্রার্থী তৈমূর বলেন, ‘অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান থাকবে কেউ ইভিএম মেনে নেবেন না। এটা ভোট ডাকাতের বাক্স। আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র মেরুদণ্ডহীন। ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক আমলের আদলে চলছে এখনো। তাদের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করা যায় না। ইভিএমে নির্বাচনে গেলে কোনোভাবেই ভোট ডাকাতি রুখতে পারবে না জনগণ।’

তৈমূর বলেন, ‘আমি মনে করি রাজনীতি করতে গেলে একটা দল থাকতে হয়। কিন্তু পদ পদবি দরকার হয় না। ব্যক্তি ইমেজ ভালো থাকলে জনগণ এমনিতেই আপনার পাশে থাকবে। নির্বাচন কমিশন একটা মিথ্যার ফ্যাক্টরি, প্রশাসন একটা মিথ্যার ফ্যাক্টরি। জনগণ এখন মিথ্যার কষাঘাতে জর্জড়িত। এই মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই হবে আমার কাজ। আমি জাতীয়তাবাদী ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমি না হয় বিএনপির কর্মী বা সমর্থক হয়ে থাকব। সমর্থককে তো আর বহিষ্কার করতে পারবে না। আমি বিএনপির সমৃদ্ধি কামনা করি, তারেক রহমানের বাংলাদেশে আগমন কামনা করি। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করি।’












সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি