শিরোনাম: |
ডিমের যে ১০ তথ্য আপনাকে অবাক করে দেবে
|
![]() ডাইনিং টেবিলে যেসব খাবার শোভা পায়, তার ভেতর ডিম জনপ্রিয়তায় বেশ খানিকটা এগিয়ে। সাধারণভাবে জন্মের বছরখানেক পর থেকে আমৃত্যু প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক ডিম সম্পর্কে ১০টি তথ্য, যা আপনাকে অবাক করে দেবে। * চলচ্চিত্রের ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’ আলফ্রেড হিচকক। তিনি ১৮৯৯ সালে জন্ম নেন। ১৯৮০ সালে মারা যান। এই ৮১ বছরের জীবনকালে তিনি কোনো দিন ডিম খাননি। তিনি নাকি ডিম প্রচণ্ড ভয় পেতেন। তাঁর একটা অসুখ ছিল। নাম ওভোফোবিয়া। মানে ডিমভীতি। ডিম দেখলেই আঁতকে উঠতেন হিচকক। বলতেন, ‘ডিম এমন এক কিম্ভূত সাদা বস্তু, যাতে কোনো ছিদ্র নেই।’ * ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ হয়েছে কি না, তা জানার জন্য এটি ঘোরাতে হবে। যদি সহজে ঘোরে তবে বুঝতে হবে এটি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়েছে। আর যদি ঘোরার সময় কাঁপতে থাকে তবে বুঝতে হবে এটির ভেতরে এখনো কাঁচা। আর ডিম ভালো না মন্দ, এটা বোঝা তো খুবই সহজ। আপনারা অনেকেই জানেন। ডিমটা পানিতে ছাড়ুন। যদি ডুবে যায়, তাহলে ভালো। যদি ভেসে থাকে, তাহলে নষ্ট। * ডিমকে নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই বললেই চলে। কিডনির অসুখ না থাকলে প্রতিদিন নিশ্চিন্তে একটা করে ডিম খান। মাঝেমধ্যে দুটোও খেতে পারেন। এমনকি দুম করে একদিন তিনটা ডিম খেয়ে ফেললেও ক্ষতি নেই। * সারা দিনে মানুষের শরীরে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলের প্রয়োজন হয়। আর একটা ডিমের কুসুমে থাকে ২০০ মিলিগ্রাম। এত দিন বলা হতো যে ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ধারণা আসলে সত্যি নয়। আমাদের লিভারও (যকৃৎ) কোলেস্টেরল উৎপাদন করে। যখন খাবার থেকেই শরীরে কোলেস্টেরল প্রবেশ করে, তখন লিভার কোলেস্টেরলের উৎপাদন কমিয়ে সেটাকে ব্যালান্স করে। তা ছাড়া অন্যান্য স্যাচুরেটেড চর্বি থেকে ডিমের কোলেস্টেরল ভালো। বেশি উপকারী, কম ক্ষতিকারক। * আগে বলা হতো, বয়স চল্লিশের বেশি হয়ে গেলে তখন কুসুম না খেলেই ভালো। এটা একদম ভুল কথা। সম্প্রতি চীনের সাংহাই জিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, বরং প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে। * ডিমের প্রোটিনে সঠিক মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এটি নতুন টিস্যু গঠনে আবশ্যক। ডিম ছাড়া এ উপাদান থাকে কেবল মায়ের বুকের দুধে। তাই কোথাও কেটে গেলে, পুড়ে গেলে, বড় অপারেশনের পর, ডেঙ্গু বা কোভিডের সময়ে, গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা বেশি বেশি ডিম খেতে বলেন। * ডিমে নয় ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। এগুলো মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক বিশেষ একধরনের হরমোন ক্ষরণ করতে উৎসাহিত করে। এ হরমোন একটি রিল্যাক্সিন হরমোন। এটি দুশ্চিন্তা কমিয়ে মুডের সুইচ অন করে দিতে পারে। তাই মানসিক চাপে বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে আপনি একটা ডিম খেয়ে দেখতেই পারেন। * ইউটিউবে ডিম কীভাবে ভাঙতে হয়, কীভাবে ডিমের কুসুম ফেটাতে হয়, এসবের ভিডিও দেখিয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেকে। ডিমপোচ বা ডিমভাজির ভিডিও দেখা হয়েছে কোটি কোটিবার। ডিম জনপ্রিয়, তাই ডিম বিষয়ক ভিডিওগুলোও খুব জনপ্রিয়। * ডিমের সঙ্গে, আগে ও পরে দুধ, লেবু, মধু, কলা বা টকদই খাবেন না। জটিল প্রোটিন উৎপন্ন করে হজমে গোলযোগ করবে। দুধের সঙ্গে যেকোনো ভাজাপোড়া খেলেও তা হতে পারে বদহজমের কারণ। * একটামাত্র কোষ থেকে একটা পূর্ণাঙ্গ মুরগি হবার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তার সব পুষ্টিউপাদানই উপস্থিত ডিমে। |