বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
কী পাইনি তার হিসাব মেলাতে...
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 8:07 PM

বহুকাল আগে বিশ্ববিখ্যাত হিউম্যানিস্ট নেতা এম এন রায় একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম 'হু রুল ইন আমেরিকা' (আমেরিকা শাসন করছে কারা)। এই বইটিতে তিনি দেখিয়েছিলেন, যে গণতন্ত্রের নামে আমরা এত কান্নাকাটি করি সেই গণতন্ত্র কতটা অসার। আমেরিকায় সিনেট, কংগ্রেস কত কিছু আছে, কিন্তু দেশটি আসলে শাসন করে বিগ বিজনেস। এমনকি দেশের প্রেসিডেন্টও কে হবেন, তা লোকচক্ষুর আড়ালে নির্ধারিত হয় বিগ করপোরেশনের ডিরেক্টরদের মিটিংয়ে। তাদের টাকায় দুই দলের প্রেসিডেন্টেরই নির্বাচনী প্রচার চলে। বহু বছর পর আজ বাংলাদেশে প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগ ও তার সরকারও কি আমলানির্ভর হয়ে পড়েছে? এই প্রশ্নটি বহুকাল আগে ওঠা উচিত ছিল। আমিও এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বহুবার লিখেছি। মন্ত্রীদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তাই আজ এ নিয়ে কথা শুরু হয়েছে। কিন্তু বড় দেরি হয়ে গেছে। এখন পেছনে ফেরা খুবই কষ্টকর। রাজনৈতিক শক্তি রাজনীতিকদের হাত থেকে চলে গেছে। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলের শেষ দিকে এই সত্যটি অনুভব করেছিলেন- তিনি আমলাবেষ্টিত হয়ে পড়ছেন। তাই বাকশাল পদ্ধতি প্রবর্তন করে তিনি আমলা-ব্যবসায়ীদের শাসন উচ্ছেদ করে সেখানে গণমানুষের শাসন, জনপ্রতিনিধিদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এই আমলা গোষ্ঠী কিছু সেনা কর্মকর্তাকে উস্কে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এই হত্যাকা-কে আমাদের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী নিন্দা করেননি। বরং প্রচার চালিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু দেশে গণতন্ত্র উচ্ছেদ করেছেন। এই অসত্য প্রচারণাটি বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক মূলধন। এখন তোফায়েল আহমেদরা দেশে আবার আমলা শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় উচ্চকণ্ঠ। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময় তারা যদি বঙ্গবন্ধুর বাকশালের আদর্শ ত্যাগ করে পুরোনো আমলাতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরে না যেতেন, তাহলে আজ বাংলাদেশের অবস্থা অন্যরকম হতো। শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক অভাবিত উন্নতি ঘটিয়েছেন। কিন্তু আমলা-ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর শাসন উচ্ছেদ করতে পারেননি।
দেশে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এই পুরোনো আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন। তার মন্ত্রীদের কারও কোনো ক্ষমতা ছিল না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের চাপে পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে ফিরে গেলেও তিনি নিজে হয়েছিলেন ডিক্টেটর। তার মন্ত্রীদেরও কোনো প্রকৃত ক্ষমতা ছিল না। ক্ষমতা ছিল আমলাদের হাতে। সম্প্রতি সংসদে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করেছেন, সরকার আমলানির্ভর হয়ে গেছে। ১৯৯৬ সালে তারা যখন একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যান, তখন কি তারা খেয়াল করেছিলেন যে, পুরোনো পদ্ধতিতে দেশ শাসিত হচ্ছে, তাতে কোনো মন্ত্রীর কোনো প্রকৃত ক্ষমতা থাকবে না। ক্ষমতা থাকবে আমলাদের হাতে। মন্ত্রীরা পদের শোভাবর্ধন করবেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পরে দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে, আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে দেশে জনপ্রতিনিধিদের হাতে শাসন ক্ষমতা দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের সেই জনপ্রতিনিধিরা মন্ত্রী হওয়ার পর কেবল মন্ত্রিত্ব করেছেন কিন্তু নিজেদের ব্যক্তিত্ব দ্বারা তাদের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের কোনো চেষ্টা করেননি। আজ তোফায়েল আহমেদ, ফিরোজ রশীদ মন্ত্রীদের ক্ষমতার জন্য সংসদে দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলছেন। কিন্তু তারা কেউ জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে শাসন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য সাহস করে আন্দোলন করেননি, চেষ্টাও করেননি। মন্ত্রিত্ব পেয়েই খুশি রয়েছেন। এই মন্ত্রিত্বের চেহারাটা কি তা একবার নেড়েচেড়ে দেখেননি। কারণ, তাদের প্রধানমন্ত্রী অথবা প্রেসিডেন্টের সামনে সাহস করে কথা বলার কোনো ভূমিকা রাখেননি। আজ জাতীয় পার্টির সাংসদ ফিরোজ রশীদ বলছেন, এখন রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলাদের প্রশাসনে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন- তাদের শাসনামলে কী ছিল? তাদের প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেব আজ মন্ত্রী বানাতেন, কাল তাদের ফেলে দিতেন। দুর্নীতির অজুহাতে তার বহু মন্ত্রী মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। কিন্তু একজন সচিবও দুর্নীতি বা অপশাসনের দায়ে চাকরি হারাননি। কেবল এরশাদ সাহেবের মর্জি মতো কাজ না করলে তাদের পদাবনতি হয়েছে।
জিয়াউর রহমান আইয়ুব খানের কায়দায় জনগণ যাদের ভোট দেয়নি এমন লোকদের মন্ত্রী করা শুরু করেন। তাদের হাতেও প্রকৃত শাসন ক্ষমতা ছিল না। এ প্রথাটি আইয়ুব খানের নীতি অনুসারে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া অনুসরণ করেছেন। তারা মন্ত্রীদের কোনো ক্ষমতা দেননি। ২০০৯ সালে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই শাসন ব্যবস্থা পুনর্গঠনে সরকারের হাত দেওয়া উচিত ছিল। চাটুকারদের মন্ত্রী নিয়োগ না করে সে বার আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের মন্ত্রী করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদও ছিলেন। ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক এবং আরও অনেক সংগ্রামী নেতা। বাকশাল নামটি বজায় রাখা তখনকার পরিস্থিতিতে সম্ভব ছিল না। কিন্তু পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রাখতে পারত। জনপ্রতিনিধিদের হাতে প্রকৃত ক্ষমতা প্রদান হতো সেই আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ। কিন্তু তোফায়েল আহমেদরা এবং তখনকার প্রবীণ দলীয় নেতারা যারা মন্ত্রী হয়েছিলেন, তারা মন্ত্রী হয়েই খুশি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার কথা তারা ভুলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামটি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। তার আদর্শ গ্রহণ করেননি। শেখ হাসিনা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এই নেতাদের ভোটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি না চাইলেও তার হাতেই ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। আমি এক মন্ত্রীর মুখে শুনেছি, তিনি কোনো অর্ডার দিলে তার সচিব তা মানেন না। তার সচিব বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অন্য অর্ডার পেয়েছি। এভাবে সচিবরা প্রত্যেক মন্ত্রীকেই উপেক্ষা করার সাহস পেয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মন্ত্রী ক'জন আছেন? তাই সচিবদের আশকারা বেড়েছে। এই আশকারা আমি দেখেছি মুজিববর্ষ উদযাপনের সময়ও। ঢাকায় মুজিববর্ষের প্রধান অনুষ্ঠানটি মুম্বাইয়া ছবির আদলে এমনভাবে করা হয়েছে, যা লজ্জাকর। দেশে এত বিখ্যাত কবি থাকা সত্ত্বেও ওই অনুষ্ঠানে একজন সচিবের কবিতা পাঠ করা হয়।
তোফায়েল আহমেদরা একজনও এ অব্যবস্থার প্রতিবাদ করেননি। গোটা মুজিববর্ষ উদযাপিত হয়েছে আমলাদের দ্বারা। জনপ্রতিনিধি এবং বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত অনুসারীরা এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাননি। আমি এক মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সম্পর্কে তারা সন্তুষ্ট কিনা। তিনি জবাব দিয়েছেন, সন্তুষ্ট নন। এ কথা বলার সাহস তাদের নেই। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, কোনো মন্ত্রীর যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতের মিল না হয়, তিনি সাহস করে তার প্রতিবাদ করেন নতুবা পদত্যাগ করেন। ব্রিটেন এবং ভারতের মন্ত্রীদের পদত্যাগের এমন অনেক উদাহরণ আছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনামলে একটি উদাহরণও দেখিনি। ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভার বৈশিষ্ট্য হলো, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের মতামত নিয়ে দেশ শাসন করবেন। তিনি যদি তা না করেন তাহলে সেটা ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভা নয়, সেটা প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রিসভা। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম দেশে আমলার শাসন চলছে বলে অভিযোগ করছেন। কিন্তু তার নেতা-নেত্রীদের শাসনামলে কোন মন্ত্রীর ক্ষমতা ছিল জিয়াউর রহমান অথবা খালেদা জিয়ার কোনো কথার প্রতিবাদ জানানোর? ওই আমলে ক্ষমতা তো চলে গিয়েছিল খালেদাপুত্র তারেক রহমানের হাতেও। তার হুকুমেও শাসন বিভাগ চলত। এই শাসন বিভাগের কিছু আমলার সাহায্যেই তিনি তার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরাট হাওয়া ভবন তৈরি করেছিলেন। আজও যে দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের সাহায্য নিয়ে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা, মন্ত্রী ছোট ছোট হাওয়া ভবন তৈরি করেছেন, তাদের দৌরাত্ম্যের খবর রোজই খবরের কাগজে উঠছে। সম্প্রতি সরকার জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে শাসন ক্ষমতা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। এই কর্মকর্তারা হচ্ছেন সচিব। তাদের মাথার ওপরে মন্ত্রী আছেন। কিন্তু তাদের করণীয় কিছু নেই। আমার বন্ধু তোফায়েল আহমেদ এখন মন্ত্রী নেই। তিনি দেশের একজন শ্রেষ্ঠ পার্লামেন্টারিয়ান। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ক। রমনার রেসকোর্স ময়দানে তিনি জনগণের হয়ে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন। সেই তোফায়েল আহমেদের যদি শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস না হয়, তাহলে আর কার হবে? আগেই বলেছি, বর্তমান মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ ও যোগ্য মন্ত্রীর অভাব রয়েছে। এরা সব সময় চাকরি হারানোর ভয়ে অস্থির। আজ সচিবদের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা যাওয়ায় এবং তাদের হাতে জেলায় জেলায় রিলিফ ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়ায় কোনো মন্ত্রী প্রতিবাদ করেননি। তোফায়েল আহমেদও মন্ত্রী থাকলে করতেন কিনা সন্দেহ। তবুও তাকে অভিনন্দন জানাই। বহু দুর্যোগের মধ্যেও তিনি আওয়ামী লীগে টিকে আছেন। মন্ত্রিত্ব না থাকুক তিনি দেশের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় নেতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার যেমন বিরাট অবদান, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের কাজেও বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে তার অবদান কম নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোফায়েল আহমেদকে পিতার সহচর হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তোফায়েল আহমেদের উচিত মন্ত্রিত্ব না থাকলেও দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে দলকে এবং সাবেক মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভাকে তাদের ভুলত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনে শ্রম ও শক্তি নিয়োগ করা। যারা নব্য ধনী শ্রেণি তৈরি করেছিলেন, তারাই আজ দেশের প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতে প্রাধান্য বিস্তার করেছেন। আওয়ামী লীগের সংগঠন হিসেবে দায়িত্ব ছিল এই নব্য ধনীদের উত্থান প্রতিরোধ করা। আওয়ামী লীগ তা করেনি। বরং ক্ষমতার লোভে নব্য ধনী শ্রেণি থেকেই মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই আজ আওয়ামী লীগের ভেতর এত অরাজকতা। ওবায়দুল কাদের একা কী করবেন? তার সভাপতি দেশ শাসনে ব্যস্ত। তিনি রুগ্?ণ শরীরে যতটা পারছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো টিকিয়ে রেখেছেন। তাকে আরও ক্ষমতা প্রদান করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। দেশ শাসনে তিনি অতুলনীয় যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। তাকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এই আমলা চক্র থেকে মুক্ত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, "তোরা যখন দেখবি আমি 'চাটার দল' দ্বারা বেষ্টিত, তখন সাহস করে আমাকে সতর্ক করতে ভুল করিস না।" শেখ হাসিনাকেও এখন সতর্ক করা দরকার। কারণ, তার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।
এই সরকারের ভিত্তি শক্ত করার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত করা দরকার। দল থেকে আগাছা দূর করা দরকার। আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোতে যে নেতিবাচক কর্মকা- শুরু হয়েছে তা দূর করে আওয়ামী লীগকে তার আগের সংগ্রামী ভূমিকায় নিয়ে যেতে হবে। তোফায়েল আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের যেসব শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন তাদের উচিত অভিমান করে দূরে না থেকে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজে এগিয়ে আসা। আওয়ামী লীগ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে ভাঙন ধরলে আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ভারতের কংগ্রেস নেতারা এই সত্যটি উপলব্ধি করেননি। তারা ক্ষমতায় যাওয়াকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে এমনকি সে জন্য উগ্র মৌলবাদীদের মদদ দিয়ে দলকে শক্তিশালী রাখার ব্যাপারে অবহেলা করেছেন। তার মূল্য আজ তাদের দিতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যে অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতাকে মূল আদর্শ করে বাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, এক জাতিতে পরিণত করেছে, সেই সাফল্য ধরে রাখার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দলকে তাদের সংগঠিত ও শক্তিশালী করে তোলা দরকার। জনগণের সমর্থনে শক্তিশালী এই দলই হবে দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান সহায়ক শক্তি। আমার বন্ধু তোফায়েল আহমেদকে অনুরোধ করি, তিনি সংসদে অথবা সংসদের বাইরে নিজের অভিমান প্রকাশ না করে দলকে সুসংগঠিত করার কাজে এগিয়ে আসুন। শেখ হাসিনা এবং তার সরকার তাহলেই আমলানির্ভরতা ত্যাগ করে জনগণের সমর্থননির্ভর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি