শিরোনাম: |
বাবুলের সঙ্গে এনজিওকর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিওকর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো বলে জানিয়েছে মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। বুধবার (১২ মে) বেলা দুইটার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করার পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাকি সাতজনের নাম আগের মামলায় পুলিশের তদন্তে এসেছিল। আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, কামরুল সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ সাজু ও মোহাম্মদ কালু।
মোশাররফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিওকর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক আছে। সেটা জানাজানি হলে তার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। পারিবারিকভাবে তারা বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বাবুলের পরিকল্পনায় আসামিরা তার মেয়েকে হত্যা করে। ২০১৩ সালে বাবুল যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তখন এনজিওর এক মাঠকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। বিষয়টি মিতু জানতে পারলে ঝগড়া হয়। ঘটনার পর বাবুল মোশারফের বাসায় ছিলেন। মামলা করতে দেরি কেন করলেন? এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে মিতুর বাবা বলেন, বাবুলের বিষয়ে তিনি পরে নিশ্চিত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তিনি মামলা করেছেন। |