বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, 2০২4
বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও কমনি নিত্যপণ্যের দাম
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 8:53 PM

স্টাফ রিপোর্টার:
সাধারণত সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা দম ফেলানোর ফুরসত থাকে না নিত্যপণ্যের দোকানিদের। তপ্ত দুপুরে অনেক দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা একটু বিশ্রামের সুযোগ পান। কিন্তু সরকারঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিনে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বেলা ১০টার দিকেও অনেক দোকানে আগের মতো দেখা নেই ক্রেতার। অন্যান্য দিনগুলোতে এই সময়ে যখন তাদের ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার হয়, আজ সেই সময়ে ক্রেতাদের জন্য চেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন ক্রেতাশূন্য এমন অবস্থা দেখা গেছে।
কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারঘোষিত সাত দিনের কঠোর স্বাস্থ্যবিধির শুরুর আগে অনেকে বেশি করে বাজার করেছেন। যার ফলে এখন বাজার খোলা থাকলেও অতিরিক্ত বাজার মজুদ করার কারণে এখন অনেকে বাজারে আসছেন না। আর তাই আগের মতো বাজারে ক্রেতা কম। দুএকদিনের মধ্যে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা স্বপন মিয়া বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগে আমাদের বেঁচা-বিক্রি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু সাত দিনের লকডাউন ঘোষণার করার পর এখন মাছ কিনে বিপদে পড়তে হচ্ছে। সকাল থেকে বসে থাকলেও আগের মতো মাছ কেনার মানুষ নাই।
ক্রেতা কমের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, লকডাউনের ঘোষণা শুনে অনেকে বেশি বেশি করে বাজার করেছে। সবাই মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রেখেছেন। এখন বাজারে লোক কম। আগে এই সময়ে অনেক ব্যস্ত সময় কাটতো কিন্তু এখন আগের মতো ক্রেতা নেই। মাছের দাম কিছুটা কম হলেও বিক্রি করতে পারছি না। এর মধ্যে বিকাল চারটার পর আবার বাজার বন্ধের তোরজোড় শুরু হয়ে যায়।
স্বপন মিয়া মাছের দাম কমের কথা বললেও বাস্তবে তার কোনো মিল কম। তিনি তার দোকানে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, ভাটা, টাটকিনি বড় চিংড়ির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। রুই বিক্রি করছেন ২০০ টাকা, কাতল বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, ভাটা মাছ বিক্রি করছেন ১০০ টাকা, বড় চিংড়ি বিক্রি করছেন ৬০০ টাকা কেজি।
এছাড়া এই বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০, লাল কক মুরগি ২০০ এবং সাদা রঙের খাশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকা করে।
সবজির বাজারও অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু ৪০ টাকা হালি এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।




সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি