শিরোনাম: |
পুষ্টিগুণে ভরা তরমুজ, বেশি খেলেও বিপদ
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() তরমুজের উপকারিতা- পানিশূন্যতা পূরণ করে: তরমুজে রয়েছে শতকরা ৯১ ভাগ পানি। যা শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করে। এই প্রাকৃতিক পানি ফিল্টারের পানির চেয়ে বিশুদ্ধ। শক্তি বাড়ায়: তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম যা ইলেকট্রোলাইটের কাজ করে। হাড়ের স্বাস্থ্য: হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ খুবই উপকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি যেটি হাড়ের ছোট খাটো সমস্যা দূর করে। তরমুজ খাওয়ার ফলে হাড়ের চিড় ধরা রোধ করে। মাড়ির জন্য: তরমুজে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন সি মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া ও মাড়ির সংক্রমন রোধ করতে সাহায্য করে। কোষ নষ্ট হওয়া আটকায়: লাইকোপেন সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরের কোষগুলোকে হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে। চোখ ভালো রাখে: তরমুজে আছে ক্যারোটিনেড। তাই নিয়োমিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে সহায়তা করে। কিডনী সুস্থ রাখে: তরমুজের রস কিডনীর বর্জ্য পরিষ্কার করে। তাই কিডনীতে পাথর হলে ডাবের পানির পরিবর্তে চিকিৎসকগণ তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ্ দেন। ত্বক সজীব রাখে: তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে সজীব রাখে। পাশাপাশি ত্বকের যে কোন সংক্রমন প্রতিরোধ করে।তরমুজ খেলে ত্বকে সহজে ভাজ ও বলিরেখা পরে না। গর্ভবতীর জন্য: গর্ভবতীদের বুকে জ্বালাভাব ও মাংসপেশিতে ব্যথা রোধ করে তরমুজ। তরমুজের এতসব গুণাগুনের পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিচে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ দেওয়া হল- পেটের সমস্যা: যেকোনো কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজেও ঠিক তাই, তরমুজ বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজে অতিরিক্ত মাত্রায় লাইকোপেন থাকায় বমি, হজমে, পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। হাইপারক্যালেমিয়া: অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খেলে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম বেড়ে যায়। যার ফলে হার্টের সমস্যা, হৃদ স্পদন ও নাড়ি দুর্ব্ল হয়ে যায়। অ্যালার্জি: যাদের তরমুজ খেলে অ্যালার্জি হয় তাদের তরমুজ খাওয়া উচিত না। এতে শরীরে চুলকানি ও ত্বকের লালচে ভাব দেখা দেয়। |