শিরোনাম: |
কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ বলে দুঃখপ্রকাশ এমপি একরামের
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ পরিবার বলায় নোয়াখালীর রাজনীতি থেকে শুরু করে রাজধানীর রাজনীতিতেও কিছুটা প্রভাব পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখেও শোনা যায় নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ পরিবার বলেছেন। সাধারণ জনগণের মাঝেও কথাটি ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বহিষ্কারের দাবিতে ২২ জানুয়ারি লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেন ওবায়দুল কাদেরর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। একদিন পরেই ২৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর অনুরোধে এই হরতাল প্রত্যাহর করে নেন কাদের মির্জা। ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকার’ পরিবার বলায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানাভাবে আলোচনার মাঝেই আজ বুধবার একরামুল চৌধুরী ওবায়দুল কাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার এই বক্তব্যে নোয়াখালীবাসী কষ্ট পেলে ক্ষমা চেয়েছেন একরাম চৌধুরী। বুধবার টেলিফোনে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ দুঃখ প্রকাশ করেন। একরাম চৌধুরী বলেন, আমার কোনও বক্তব্যে আমার নেতা ওবায়দুল কাদের কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর নোয়াখালীবাসী দুঃখ পেয়ে থাকলে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে একরাম চৌধুরী ফেসবুক লাইভে এক ভিডিওতে বলেন, আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তার ভাইকে শাসন করতে পারেন না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তা হলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব। এ ঘটনায় সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনা অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান একরাম চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মাকে নিয়ে গালাগাল করায়, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করায় আমি এসব কথা বলেছি। কাদের ভাইকে (ওবায়দুল কাদের) নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ, অনুযোগ নেই। তিনি আমার নেতা। |