শিরোনাম: |
ভারতীয় সেনাদের ওপর চীনের হামলা পরিকল্পিত!
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
আকস্মিক উত্তেজনা থেকে নয়, পরিকল্পনা করেই গালওয়ান উপত্যকায় টহলদার ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল চীন। প্রাণহানির কথা মাথায় রেখেই গালওয়ানে হামলার পরিকল্পনা করেছিল দেশটি। ‘ইউনাইটেড স্টেট-চায়না ইকনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন’র পক্ষ থেকে আমেরিকান কংগ্রেসে জমা দেওয়া বার্ষিক রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে। আমেরিকার পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডেভিড স্টিলওয়েল অভিযোগ করেছিলেন, 'করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চীন সরকার ভারতসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের উপর চড়াও হওয়ার ছক কষেছিল। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) তে লালফৌজের আগ্রাসী আচরণ সেই পরিকল্পনারই অংশ।'
আমেরিকা-চীন অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের রিপোর্টে গালওয়ান হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে আগে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহর একটি মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। যেখানে ওয়েই বলেছিলেন, 'যুদ্ধের মাধ্যমেই সীমান্তে স্থিতিশীলতা স্থাপন করা যেতে পারে।' গালওয়ানে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)'র হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। আর আমেরিকার গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিহত চীনা সেনার সংখ্যা ৩৫। ১৯৭৫ সালের পরে ফের এলএসিতে রক্ত ঝরার জন্য চীনের আগ্রাসী আচরণকেই দায়ী করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। সেখানে ‘প্রমাণ’ হিসেবে গালওয়ান সংঘর্ষের দু’সপ্তাহ আগে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সামনে আনা হয়েছে। যেখানে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘আমেরিকা-চীন সংঘাতে নাক গলালে ভারতকে কঠিন পরিণতি সহ্য করতে হবে।’ গালওয়ানে হামলার আগে ওই এলাকায় সশস্ত্র প্রায় এক হাজার চীনা সেনা মোতায়েন এবং পরিকাঠামো নির্মাণের প্রসঙ্গও এসেছে রিপোর্টে। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রও তুলে ধরেছে ‘ইউনাইটেড স্টেট-চায়না ইকনমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন।’ |