শিরোনাম: |
আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানা বন্ধ করোনার মধ্যে
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাকশিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একথা সত্যি। তবে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া অশনি সংকেত। শ্রমিকদের মুখের দিকে তাকিয়ে ক্রয়াদেশ কিভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি দেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি। বন্ধ হয়ে যাওয়া সিগমা ফ্যাশনের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতির কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ শত চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত কাজ সংগ্রহ করতে পারেনি। ক্রমাগত ক্রয়াদেশ কমার ফলে কাজ বর্তমানে শূন্যের কোঠায় নেমেছে। এ কারণে কারখানা ক্রমাগত আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে, এমনকি দিন দিন ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর থেকে কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনানুগ যাবতীয় সুবিধা আগামী ৭ ডিসেম্বর পরিশোধ করা হবে।‘ প্রায় অভিন্ন বার্তা দিয়ে অন্য দুটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং দুটি কারখানায় লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে লে-অফ ঘোষিত কারখানাগুলোর শ্রমিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলেও ঘোষণায় বলা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, কারখানায় কাজ না থাকলে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণা করতে পারে। এ সময়কালে কারখানায় এক বছর ধরে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন। লে-অফ ঘোষণা করা মদিনা অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এস কে খোকন বলেন, ‘করোনার কারণে কারখানায় কাজ নেই। তাই কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু ক্রয়াদেশ স্থগিত আছে, সেগুলোর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেই কারখানা আবার চালু করা হবে।‘ |