শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
বাইডেন জিতলে আমেরিকা ও বিশ্বের মৌলিক কোনো পরিবর্তন হবে কি?
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
Published : Monday, 2 November, 2020 at 7:20 PM

আগামীকাল (৩ নভেম্বর মঙ্গলবার) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে রিপাবলিকান দলের সিটিং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে। কে জয়ী হবেন, এই শেষ মুহূর্তেও তা বলা মুশকিল।
আগামীকাল (৩ নভেম্বর মঙ্গলবার) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেকশন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে রিপাবলিকান দলের সিটিং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে। কে জয়ী হবেন, এই শেষ মুহূর্তেও তা বলা মুশকিল।

যদি জনমত সমীক্ষার ফল এবং মানুষের মনের আবেগ ও সমর্থনকে বিশ্বাস করতে হয়, তাহলে জো বাইডেন অবশ্যই জয়ী হবেন। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ তাই আশা করে। আর যদি আশঙ্কা করতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আস্তিনের মধ্যে যে জাদু লুকিয়ে রেখেছেন এবং যে শ্বেত সন্ত্রাসী রাক্ষসকুল তার আজ্ঞাবহ রয়েছে, রয়েছে বিবেকশূন্য বিচার বিভাগ, তাদের তিনি কাজে লাগাতে সফল হবেন, তাহলে আল গোরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জর্জ বুশ যেভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গিয়েছিলেন সেভাবে আগামীকালের নির্বাচনেও ট্রাম্প জিতে যাবেন। আর তার এই জেতার দিবসটি হবে সারা বিশ্বের শান্তিকামী ও মানবতাবাদী মানুষের জন্য একটি কালো দিবস।

আমার সাংবাদিক জীবনে এমন একটি রুদ্ধশ্বাস দিন কাটিয়েছি অর্ধশতক আগে পাকিস্তান আমলে প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনের সময়ে। তখন বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়নি। দেশে সামরিক শাসক আইয়ুব-প্রবর্তিত তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্র পদ্ধতির শাসন চলছে। এ ব্যবস্থায় আমেরিকার মতো ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে সেবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ৪০ হাজার এবং পশ্চিম পাকিস্তানে ৪০ হাজার মৌলিক গণতন্ত্রী মিলিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ। প্রাপ্ত বয়স্কের সার্বজনীন ভোটে নয়, এ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে কে প্রেসিডেন্ট হবেন, তা নির্ধারিত হবে। তবে মার্কিন ইলেক্টোরাল কলেজের মতো পাকিস্তানের মৌলিক গণতন্ত্রীদের দ্বারা গঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ স্বাধীন ছিল না। ছিল সরকারি সার্কেল অফিসারদের নিয়ন্ত্রণাধীন। বিচারপতি কায়ানি আইয়ুবের বেসিক ডেমোক্রেসি ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেছিলেন, ইট ইজ নাইদার বেসিক, নর ডেমোক্রেসি। এ ব্যবস্থা মৌলিক নয় এবং গণতন্ত্রও নয়।

যা হোক, এই ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একদিকে কনভেনশন মুসলিম লীগের সিটিং প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খান। অন্যদিকে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন মোহতারেমা ফাতেমা জিন্নাহ।
আমার মনে আছে, জনমত সমীক্ষায় পাকিস্তানের উভয় অংশেই ফাতেমা জিন্নাহ জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে তিনি ছিলেন বিপুলভাবে এগিয়ে। মুখে মুখে কথা ছড়িয়ে পড়েছিল যেন ফাতেমা জিন্নাহর বিরাট জয় অনিবার্য।

ভোট গণনার প্রথম দিন দুপুরের দিকে দেখা গেল মিস ফাতেমা জিন্নাহ অনেক এগিয়ে। তার জয় সন্দেহাতীত। এটা ছিল সঠিক ভোট গণনা, এই গণনার ওপর নির্ভর করে ঢাকার সরকারি ট্রাস্ট পত্রিকা ‘দৈনিক পাকিস্তান’ বিকালের দিকে এক বিশেষ সংখ্যা বের করে তার খবরের ব্যানার হেডিং দিয়েছিল- ‘মাদারে মিল্লাত বিপুল ভোটে এগিয়ে।’ সারা ঢাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যে সেই বাতি নিভে গেল।

আলাদীনের দৈত্য এসে যেন সেই উৎসবের বাতি নিভিয়ে দিল। আমরা রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিলাম, কখন মিস জিন্নাহর জয়লাভের চূড়ান্ত খবর আসে। সেই চূড়ান্ত খবর এলো- নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের বিরাট জয়লাভ। এটা যেন নির্বাচনে আইয়ুবের স্বাভাবিক জয়লাভ নয়। জাদুমন্ত্রে তার এই জয়লাভ।

তারপর অর্ধশতাব্দীর বেশি কেটে গেছে। আজ আবার রুদ্ধশ্বাসে বিশ্ববাসীর সঙ্গে অপেক্ষা করছি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল শোনার। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে। বিশ্বের শান্তিকামী গণতন্ত্রপ্রেমী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আশা করছে জো বাইডেন জয়ী হবেন। যদি তা না হয়? যদি খবর আসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক রহস্যময় জাদুমন্ত্রে জিতে গেছেন? তাহলে বিশ্বময় আশা ও উৎসাহের আলো নিভে যাবে একথা সত্য। কিন্তু ট্রাম্পের এই জয় মেনে নিতে হবে। আগামী চার বছর পৃথিবীতে কী দুর্দৈব ঘটে, তার জন্য শঙ্কিত মানুষ অস্থির থাকবে।

আমি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আগে যেমন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হবেন তা জানার জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করেছি, আজ তেমনি বিশ্বের একক সুপার পাওয়ার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল জানার জন্য অপেক্ষায় আছি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল সারাবিশ্বে প্রভাব ফেলবে, প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, তেমন সম্ভাবনা ছিল না। পাকিস্তান ছাড়া আর কোথাও তা প্রভাব বিস্তার করে না, প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। কিন্তু আজ ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে কে প্রেসিডেন্ট হলেন তা জানার জন্য সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে রুদ্ধ নিঃশ্বাসে অপেক্ষা করছি এবং মনে মনে জো বাইডেনের বিজয় কামনা করছি। এই নির্বাচনের ফল সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে।

আগামীকালের নির্বাচনে জো বাইডেন যদি হেরে যান, তাহলে আগামী চার বছরের জন্য পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আমেরিকায় বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গদের দাপট বাড়বে। সংখ্যালঘু অশ্বেতাঙ্গ ও বহিরাগতদের অধিকার খর্ব হবে। তাদের ওপর নির্যাতন বাড়বে, প্রতিবাদী অশ্বেতাঙ্গ নাগরিকরা তাদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এলে হিটলার যেমন জার্মানিকে বিভক্ত করে রেখে গিয়েছিলেন, ট্রাম্প তেমনি আমেরিকাকে বিভক্ত করে রেখে যেতে পারেন। বহির্বিশ্বে আমেরিকার গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব ধ্বংস হতে পারে।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ সশস্ত্র সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে। প্যালেস্টাইনের মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমন যুদ্ধ শুরু করতে পারে, যাতে বহু পশ্চিমা তাঁবেদার আরব রাজতন্ত্রের পতন হতে পারে। ইসরাইলের দর্প খর্ব হতে পারে। অর্থনীতিতে ট্রাম্পের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউরোপবিরোধী নীতির দরুন আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা আরও গভীর হতে পারে। কোভিড-১৯ দমনে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় যুক্ত না হয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আরও সর্বনাশ ঘটাতে পারেন।

তাতে কী? চেঙ্গিস, হালাকু, তৈমুর, হিটলার, মুসোলিনি, সালাজারের জামানা এবং ব্লাক ফিভার, প্লেগ, ক্যান্সার, কলেরা, বসন্ত হেপাটাইটিসের মহামারী অতিক্রম করে যদি মানবতা ও মানবসভ্যতা টিকে থাকতে পারে, তাহলে ট্রাম্প এবং কোভিড-১৯-এর আরও ভয়াবহ সন্ত্রাস ও প্রকোপ থেকেও মানবতা ও মানবসভ্যতা টিকে থাকবে না কেন? হয়তো সংগ্রাম করে টিকবে। আরও ভালোভাবে টিকবে। সেই আশা করতে দোষ কী?

সেই প্রাচীনকালে তৈমুর লঙ বিশ্বত্রাস শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন টাইকাস নামে মহামারী। তার হামলায় বিশ্ব ধ্বংস হবে এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল। তৈমুর নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন ভগবানের তরবারি বা সোর্ড অব গড হিসেবে। তিনি যখন রাশিয়া আক্রমণ করেন, তখন রাশিয়ার ঘরে ঘরে যিশুর মাতা মেরীর মূর্তি হাতে নারীরা ক্রন্দনের রোল তুলেছিল- ‘হে ভগবানের মা, আমাদের রক্ষা করো।’ তাদের ক্রন্দনে কি তৈমুর ও টাইকাসের যুগপৎ হামলা থেকে রাশিয়া বেঁচেছিল? আজ ইউরোপ ও আমেরিকার জনগণ মা মেরীর মূর্তি হাতে ট্রাম্প ও কোভিড-১৯-এর কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য প্রার্থনায় নিমগ্ন হলেও সেই প্রার্থনা পূরণ হবে কি?

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন নির্বাচিত হলে কী হবে? ট্রাম্পের হটকারী নীতি থেকে আমেরিকার মানুষ কিছুটা মুক্ত হবে। বিশ্ববাসীও কিছুটা স্বস্তি পাবে। তার বাইরে গণতন্ত্র ও মানবতার সুরক্ষা, ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের অবসান, বিশ্বব্যাপী বিরাজিত যুদ্ধ-উত্তেজনার উপশম, (ট্রাম্প যুদ্ধ করেননি, কিন্তু বিশ্বময় যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়িয়েছেন।

প্যালেস্টিনিদের অধিকার পদদলিত করেছেন। আমেরিকায় হিটলারের বিভীষিকাময় কনসেনট্রেশন ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন) আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা, বিশ্বব্যাপী আমেরিকার অর্থনৈতিক উপনিবেশ গড়ার নীতির অবসান ইত্যাদি ঘটাতে পারবেন কি? এক্ষেত্রে ট্রাম্প নয়, আমেরিকায় যে নিপীড়ক হোয়াইট এস্টাবলিশমেন্ট আসলে সব ক্ষমতার অধিকারী, তাদের মোকাবেলা বাইডেন করতে পারবেন কি? করার ব্যাপারে তিনি নিজে কি আগ্রহী?

তার আগে এই হোয়াইট এস্টাবলিশমেন্টের বাইরে যেতে চেয়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন, তাকে রক্ত দিতে হয়েছে। লিঙ্কনের পর জিমি কার্টার কেবল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। তাকে একবারের বেশি দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে দেয়া হয়নি। বারাক ওবামা সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মনে বিশাল প্রত্যাশা জাগিয়ে দু’দুবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

তাকে বলা হয়েছিল, শুধু আমেকিার নয়, সারা বিশ্বের প্রেসিডেন্ট। সেই ওবামা অবৈধ পন্থায় বিনা বিচারে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেও হোয়াইট এস্টাবলিশমেন্টকে খুশি করতে পারেননি। তিনি ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। তার আমলেই কালো মানুষ হত্যা চলেছে অকাতরে। তিনি বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা মেটাতে কিছুই করতে পারেননি। করতে গেলে লিঙ্কন ও কেনেডির রক্তাক্ত পথে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হতো। তিনি সেটা জানতেন। তাই বুঝে-শুনে চলেছেন।

বাইডেন একবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি এস্টাবলিশমেন্টের ‘রুলস অব গেম’ জানেন। প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলে তিনি এস্টাবলিশমেন্টের রুলস অব গেমস মেনেই চলবেন। তার কাছ থেকে বিশ্ববাসীর বেশি প্রত্যাশা না করাই ভালো। মার্কিন এশীয় নীতিতেও তিনি কোনো প্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটাবেন, তা আশা করা যায় না। ক্লিনটন তো ছিলেন ছাত্রজীবনে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঘোরবিরোধী।

প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি কী করে লিবিয়ায় অন্যায় ও অবৈধ বোমা হামলা চালিয়েছিলেন? তাই বাইডেন যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন, (আমাদের আশাও তাই) তাহলে বিশ্ববাসীর অতি আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। তবে একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়, আমেরিকার মানুষ, সেই সঙ্গে বিশ্বের মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের হটকারী নীতি, হুঙ্কার ও বিরক্তিকর বাগ্মিতা থেকে মুক্তি ও স্বস্তি পাবে।

সেটাই বা এ দুঃসময়ে কম কী?


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি